প্রতীকী ছবি
আগামী কয়েক কোয়ার্টারে স্টক মার্কেট নিচে থাকবে, বাড়ার সুযোগ তেমন নেই, এমনই বিশ্বাস করেন অনেক লগ্নিকারী। এই পরিস্থিতিতে নতুন ভাবে কিসের ভরসায় বিনিয়োগ করা যায়? নানা তত্ত্ব এই মূহুর্তে বাজারে চালু, তবে সেগুলির মধ্যে সব থেকে জোরালো বক্তব্য ''ডিভিডেন্ড ইল্ড" নিয়ে।
ডিভিডেন্ড ইল্ড কি? কেনই বা তার এত প্রয়োজন? সহজ কথায়, কোনও কোম্পানির দেওয়া ডিভিডেন্ডকে যদি সেটির স্টকের দাম দিয়ে ভাগ করেন, তা হলে সেই অনুপাতটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এটি জরুরি মাপকাঠি। এর ভিত্তিতে বিভিন্ন স্টকের তূলনামূলক আলোচনা করা যায়, বিনিয়োগ করে কী ভাবে বিনিয়োগকারী লাভবান হচ্ছেন ডিভিডেন্ডের ভিত্তিতে, তাও বোঝা যায়। সারা বিশ্বেই এই ইল্ড (শতাংশ হিসাবে) প্রামাণ্য ধরে নেওয়া হয়ে থাকে। যে স্টকের ডিভিডেন্ড জনিত রোজগার যত ভাল, সেই স্টক ধরে রাখতে চান লগ্নিকারী। অনেক বছর রেখে দিয়ে সামগ্রিকভাবে মোটা ডিভিডেন্ড পেয়েছেন, এমন শেয়ারহোল্ডারদের সংখ্যা কম নয়।
ভারতের বাজারেও মোটা ডিভিডেন্ড দিয়েছে, এমন সংস্থা আছে। ধারাবাহিক ভাবে বিনিয়োগকারীদের সন্তুষ্ট করেছে, তেমন স্টক যদি তালিকাভুক্ত করেন, তা হলে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ও দেশী ফার্ম, দুই-ই পাবেন। অয়েল, ইনফোটেক, ম্যানুফ্যাকচারারিং, ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য সেক্টরের নাম এখানে উঠে আসে। লাভের সন্ধান এই সব ক্ষেত্রে যথেষ্ট বলে বিনিয়োগকারীদের ধারণা।
সরাসরি কেবল ভাল ডিভিডেন্ড দেয় বলে স্টক কেনার ইনভেসটরের সংখ্যা তুলনায় কম, কারণ অধিকাংশ মানুষ দাম বাড়ার সুযোগ নেওয়ার জন্যই বাজারে আসেন। ভ্যালুয়েশন বাড়লে বেচবেন, এই-ই মূল উদ্দেশ্য।
তবে ইদানিং বহু বিনিয়োগকারী ডিভিডেন্ড ইল্ড ফান্ডের দিকে ঝুঁকছেন। এগুলি সাধারণ ওপেন-এন্ড ইকুইটি ফান্ডের মতই, এখানেও যথেষ্ট বৈচিত্র্য করা হয়, পোর্টফোলিওতে রাখা অনেকগুলি সেক্টর। কোন নির্দিষ্ট মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন সংক্রান্ত নীতি মেনে চলেন না ফান্ড ম্যানেজার।
এই মুহুর্তে বিভিন্ন ডিভিডেন্ড ইল্ড পোর্টফোলিও দেখেছি আমরা। কোনো পক্ষপাত ছাড়া বলছি, যে স্টকগুলি দেখা গিয়েছে সেগুলির মধ্যে আছে:
ইনফোসিস, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, আইটিসি, টিসিএস, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, এল অ্যান্ড টি ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে এগুলি বেশ অগ্রণী ভূমিকায়। এই প্রসঙ্গে সরকারি সংস্থা, মানে পিএসইউ, নিয়ে বিশেষ ভাবে বলতে চাই। ভারত ইলেকট্রনিক্স, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স, ইন্ডিয়ান অয়েল ইত্যাদির নাম উঠে আসে স্বাভাবিকভাবেই।
আগামী দিনে ডিভিডেন্ড ইল্ড নিয়ে কৌতূহল বাড়বে, আশা করা যায়। ইকুইটি মার্কেট যেমনই থাক, আমার বিশ্বাস ভোলাটিলিটির বাতাবরণে এই ধারণার ভিত্তিতে ইনভেস্টররা ভাল শেয়ারে আগ্রহী হবেন।
প্রতিবেদক ফান্ড ম্যানেজার, ট্রাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড। বক্তব্য নিজস্ব।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy