প্রতীকী ছবি
মাস গেলে আপনার আয় হয়তো যথেষ্ট। কিন্তু খরচের রাস্তাটা ঠিক তো? মাথায় রাখুন, টাকারোজগার করা আর সেই টাকা ঠিক রাস্তায় খরচ করা কিন্তু এক নয়। অনেকেরই মাস গেলে হাতে যা আসে, তা দিয়ে সংসার চালিয়ে ভবিষ্যতের সংস্থান করাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়েদাঁড়ায়। তার কারণ একটাই। আমরা অনেকেই ভুলে যাই খরচ সামলানোটাও কিন্তু শেখার। আর এই কারণেই দেখা যায় এক দায় এবং এক আয় সত্ত্বেও কেউ কেউ ভবিষ্যৎ সামলে খরচ করছেন আরঅন্য জন হিমসিম খাচ্ছেন সংসার সামলাতে।অতএব খাতা পেন নিয়ে বসে পড়ুন আর দেখে নিন আপনি কোথায় ভুল করছেন।
১। নিয়মিত রোজগার
আপনি কি জানেন যে, সামনের মাসে বা আগামী দিনে আপনার রোজগার কত হবে? আজকের আয় আরআগামী দিনের প্রত্যাশিত আয় নিয়ে যদি আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকে, তা হলে আপনি প্রথমচ্যালেঞ্জটা পার করে ফেলেছেন। নিজের আয়ের মধ্যে খরচকে বেঁধে ফেলতে পারা এ বার আপনারদ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ।
২। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রাখা
আয়ের টাকাখরচের আগেই ভাবুন সঞ্চয়ের কথা। আর তা কী ভাবে করবেন, সেটাই কিন্তু কৌশল শিক্ষারচাবিকাঠি। আপনি সঞ্চয় করছেন বলে কিছু না ভেবেই এক থোক টাকা জীবন বিমা বা ব্যাঙ্কেরআমানতে ঢেলে চলেছেন। কিন্তু তা কি ঠিক? আপনি গাড়ি কিনতে চান, সন্তানের উচ্চশিক্ষা আছে,অসুস্থতার খরচ আছে, ভাবতে হবে অবসরের কথাও। আর এর প্রত্যেকটির জন্য কিন্তু আপনাকেআলাদা আলাদা পথে সঞ্চয় করতে হতে পারে। কিছুর জন্য লাগবে বিমা, আর অন্য কিছুর জন্যপ্রয়োজন হতে পারে চট জলদি সঞ্চয় ভাঙিয়ে নেওয়ার সুবিধা। এই হিসাব করতে পারাটাই খরচে দক্ষতার ফারাক গড়ে দেয়। তবে আর কী! আপনিও হয়ে উঠতে পারেন আপনার সেই সহকর্মীর মতো, সব দায় সামলিয়েও যে ফুরফরে ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। শুধু একটু কষ্ট করতেহবে। খুঁজে বার করতে হবে এক জন সঠিক সঞ্চয় উপদেষ্টাকে। এখনও যদি তা না করে থাকেন, তা হলেআর দেরি নয়। এই পরীক্ষায় এখন ফেল করলেও, আগামীতে প্রথম শ্রেণি পেতে তৈরি হয়ে যান যান এখনই।
৩। বিল দেওয়া
যে খরচ না করলেই নয়, টাকার অভাবে সেই বিল মেটাতে দেরি হচ্ছে নাতো? বিল যদিনিয়মিত দিতে পারেন, তা হলে অবশ্যই তা বাহবা পাওয়ার যোগ্য। এর অর্থ কোনও রকম ঋণের মধ্যে না গিয়েপ্রতি মাসে আবাসন, খাদ্য, পরিবহণ, ইএমআই এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চাহিদাগুলি মিটিয়ে ফেলেআজকের দায়কে ভবিষ্যতে চালান করতে হচ্ছে না। ফলে সমস্যার ভয় নেই।
৪। অবসর পরিকল্পনা
প্রথম পারিশ্রমিক হাতে পেয়েই অবসরের পরিকল্পনা আরম্ভ করেছেন তো? যদি প্রথমথেকেই অবসরের পরিকল্পনা করেন এবং উপার্জনের একটি অংশ ওই খাতে সরিয়ে রাখেন তা হলেবুঝতে হবে অর্থ পরিচালনায় সঠিক পদক্ষেপ করেছেন আপনি।
৫। কোনও ক্রেডিট কার্ড ঋণ নেই
আমাদের মধ্যে অধিকাংশই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। এর ব্যবহার ভাল না খারাপ- এই বিতর্কচিরকালীন। ব্যবহারকারীর একাংশ এটাও জানেন, কী ভাবে এর সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে হয়।আপনি যদি ক্রেডিট কার্ডের ঋণ থেকে দূরে থাকতে পারেন, তা হলে অবশ্যই অর্থ ব্যবস্থাপনায়দক্ষতা রয়েছে আপনার।
নিজের মধ্যে যদি উপরের এই পাঁচটি লক্ষণ দেখতে পান, তা হলে কেল্লা ফতে।আর্থিক ক্ষেত্রে ভাল পরিচালনা সঠিক সম্পদ তৈরির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আপনাকে।আর তা যদি না হয়, তাহলে আপনার ব্যস্ত রুটিন থেকেই কিছুটা সময় বার করে উপদেষ্টার কাছে যান।তাঁর পরামর্শ মেনে এগোন। দেখবেন মাত্র কয়েকটি সহজ পদক্ষেপই কী ভাবে আপনার দুশ্চিন্তা মুছে দিতেপারে।
প্রতিবেদক সিবিও, কোয়ান্টাম এএমসি। বক্তব্য নিজস্ব।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy