সঞ্চয় মানেই ঝুঁকি। বিভিন্ন সঞ্চয়ের রাস্তায় হাঁটার ঝুঁকি কোথাও কম, কোথাও বেশি। যেখানে ঝুঁকি বেশি সেখানে যেমন আয় বেশি তেমনই হারানোর ভয়ও বেশি। তাই ঝুঁকির পথে পা রাখতে উপদেষ্টারা বলেন জল মেপে জলে নামার মতোই ঝুঁকি মেপে বিনিয়োগ করুন। কিন্তু ঝুঁকি মাপবেন কেমন করে? আপনার জন্য অবশ্য সেবি সে রাস্তা সহজ করে দিয়েছে।
পাঁচ অক্টোবর, ২০২০ সালের সার্কুলার অনুযায়ী, মিউচুয়াল ফান্ডে ঝুঁকির স্তর মাপার পদ্ধতিরও বদল হয়েছে অনেক। শুধু তাই নয়, যে ফান্ডে বিনিয়োগ করবেন তার ঝুঁকি বিভিন্ন সময়ে আপনাকে জানাতে বাধ্য থাকছে সংস্থাগুলি। তাই ঝুঁকির বদল হলে আপনি সরিয়ে নিতে পারবেন আপনার বিনিয়োগও। আর এটা যে সূচকে মাপা হচ্ছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রিস্ক-ও-মিটার’। নতুন কলেবরের এই সূচক চালু হয়েছে ১ জানুয়ারি, ২০২১ থেকে।
নতুন নিয়মে প্রতিটি ফান্ডের ঝুঁকি মাপা হচ্ছে তার ঝুলিতে থাকা ‘সিকিওরিটিজ’-এর ঝুঁকি মেপে। তার ফলে দুটি ফান্ড যদি বন্ডে বিনিয়োগ করে, তার মানে এই নয় যে দু’টির ঝুঁকি এক হবে। ঝুঁকি মাপা হবে সেই ফান্ডে কী বন্ড আছে, তার ঝুঁকি কী, আনুপাতিক ভাবে কতটা বিনিয়োগ করেছে সেই বন্ডে অন্য বন্ডের তুলনায় ইত্যাদি। অর্থাৎ, আপাতদৃষ্টিতে দু’টি বিভিন্ন ফান্ড একই ধরনের বন্ডে টাকা রাখলেও তাদের ঝুঁকির হার কিন্তু আলাদা হতে পারে, যদি আনুপাতিক বিনিয়োগের হারের ফারাক হয়। কারও যদি বেশি ঝুঁকির বন্ডে বেশি বিনিয়োগ থাকে, তুলনামূলক ভাবে তার ঝুঁকি তো বেশি হবেই। আর তাতেই কিন্তু অনেক ফান্ডের ঝুঁকির মাপ বেড়ে গিয়েছে আগের তুলনায়।
নতুন নিয়মে, ফান্ডগুলিকে প্রতি মাসে তাদের ঝুঁকির অঙ্ক এবং পোর্টফোলিওতে কী আছে, তাতে কত টাকা বিনিয়োগ করা আছে তা জানাতে হবে।
ঝুঁকির অঙ্ক বদলে গেলে তা প্রতিটি বিনিয়োগকারীকে আলাদা ভাবে জানিয়ে দিতে হবে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদেরও ঝুঁকির ক্ষিদে মেপে নিজেদের বিনিয়োগ সামলে রাখতে সুবিধা হবে।
দেখে নেওয়া যাক ঝুঁকির ভাগ:
১) কম
২) কম থেকে মাঝারি
৩) মাঝারি
৪) মোটামুটি বেশি
৫) বেশি
৬) খুব বেশি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy