প্রতীকী চিত্র।
অনেকেই ভাবেন কত আর পাব? কী হবে হিসাব করে। ওই কটা তো টাকা! কিন্তু অবসরের পর বিন্দু দিয়েই সিন্ধু গড়তে হয়। হাতে যে থোক টাকা পাবেন, তাও যখন বিনিয়োগ করবেন, দিন চালানোর খরচ জোগাড়ে তাও তো রাখতে হবে বিভিন্ন প্রকল্পে। আর সে আয়ও আসবে কিন্তু অল্প অল্প করেই। আর সব খাতের আয় এক জায়গায় এনেই তৈরি হবে আপনার মাসিক আয়। তাই এখন যতই কম মনে হোক অবসরের পরে এটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। একটা আন্দাজ করে নিলে, অবসরের পরের আয়ের হিসাবে কিন্তু কাজে লাগতে পারে এই আন্দাজ।
তো শুরু করা যাক আয় বলতে কী বোঝায় ইপিএফ পেনসনের অঙ্কে। আপনার বেসিক আর ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স মিলিয়ে হয় আপনার পেনশনযোগ্য আয়ের অঙ্কের ভিত্তি। পেনশনের ক্ষেত্রে এই আয়ের অঙ্কের ঊর্ধসীমা হল ১৫ হাজার টাকা।
মাস মাইনে থেকে আপনার যদি ১২ শতাংশ পিএফ খাতে কাটা হয়, তাহলে আপনার অফিসও আপনার পিএফ অ্যাকাউন্টে ওই একই পরিমাণ টাকা জমা দেবে। আপনার টাকা থোকে জমবে। কিন্তু অফিস থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে যে টাকা জমা দেবে তার ৮.৩৩ শতাংশ জমা হবে আপনার পেনশন তহবিলে, যা কখনওই মাসিক ১ হাজার ২৫০ টাকার বেশি হবে না। এই অঙ্কটি আগে ছিল ৫৪১ টাকা।
মাথায় রাখবেন পেনশনের জন্য আপনি কিন্তু কিছু দিচ্ছেন না, এই খাতে টাকা যাচ্ছে আপনার অফিসের থেকে। আপনার সংস্থা আপনার সঙ্গে তাল মিলিয়েই আপনার সঞ্চয়ে যোগ দিচ্ছে আর আপনার পেনশনের তহবিল তৈরি হচ্ছে আপনার সংস্থার জমা দেওয়া সেই টাকা থেকেই। আর সরকার আপনার পেনশন তহবিলে দিচ্ছে আপনার বেসিক ও ডিএ মিলিয়ে আয়ের ১.১৬ শতাংশ বা ১৫ হাজার টাকা আয় ধরে ১৭৪ টাকা। তবে আপনার এই গড় আয় যদি ১৫ হাজার টাকার বেশি হয় তাহলে কিন্তু সরকার এই টাকাটা আর দেবে না।
এবার আসা যাক অঙ্কে। আপনার পেনশন কিন্তু হিসাব হবে আপনার অবসরের দিন যে বেতন পেয়েছেন তার উপর। সেই বেতন (বেসিক+ডিএ) ১৫ হাজার টাকা ধরে আপনি যত বছর চাকরি করেছেন এবং পিএফের সদস্য ছিলেন তা দিয়ে গুণ করুন। ধরা যাক আপনি ৩৫ বছর ধরে পেনসন প্রকল্পের সদস্য। তা হলে
১৫,০০০x৩৫ = ৫২,৫০০০
এ বার এই সংখ্যাকে ভাগ করুন সাধারণ বিভাজক ৭০ দিয়ে।
৫২,৫০০/৭০= ৭,৫০০
এই ৭ হাজার ৫০০ টাকাই হবে আপনার পেনশন যদি আপনি ৩৫ বছর কাজ করে থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy