প্রতীকী চিত্র
ইএসজি ব্যাপারটা কী? এই প্রশ্নটা স্বাভাবিক। ১৯৯২ সাল থেকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে এই জাতীয় শেয়ার নিয়ে সূচক চালু হলেও, একেবারে সদ্য, মাত্র কয়েক বছর হল বিনিয়োগের গন্তব্য হিসাবে এই জাতীয় শেয়ার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রথম লাইনেই অবশ্য বুঝে গিয়েছেন এই জাতীয় শেয়ার বলতে কী বুঝি আমরা। যে সব সংস্থা তুলনামূলক ভাবে পরিবেশবান্ধব, তাদেরই এই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে আপাতত আর্থিক এবং প্রযুক্তি সংস্থাগুলিই এই তালিকায় অন্যতম সদস্য হিসাবে জায়গা দখল করে নিয়েছে। তার অবশ্য কারণও আছে।
আমাদের দেশে ২০১৩ সালে ‘কোম্পানিজ অ্যাক্ট’-এ সংস্থা পরিচালকদের প্রতিবেদনে শক্তি সংরক্ষণে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য দাখিল করার দায় তৈরি করা সত্ত্বেও এই ধরনের তথ্য সেই ভাবে এখনও পাওয়া যায় না। এটা যে শুধু আমাদের দেশের সমস্যা তা নয়। গোটা বিশ্বে প্রতিটি দেশেই কমবেশি এই সমস্যা চলছে। তাই আর্থিক সংস্থা বা প্রযুক্তি ব্যবসার সংস্থাগুলিকে ধরেই নেওয়া হচ্ছে তুলনামূলকভাবে বেশি পরিবেশ বান্ধব সংস্থা হিসাবে। আর তাই তাদেরই মূলত রাখা হচ্ছে এই তালিকায়।
তবে এটা মাথায় রাখতে হবে মাত্রাতিরিক্ত গরম, প্রবল ঝড়ের তাণ্ডব আর বন্যার প্রকোপ হঠাৎই যেন আমাদের প্রকৃতি বাঁচানোর দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর তাই বিনিয়োগের বাজারেও প্রকৃতি বাঁচানোর লড়াই বিনিয়োগের জায়গা হয়ে গিয়েছে। না, যদি মনে করা হয় যে এটা সুবুদ্ধির ফল, তা হলে কিন্তু ভুল করব। আসলে সরকারের উপরে চাপ তৈরি হয়েছে প্রকৃতির রোষ থেকে দেশ বাঁচানোর। শুধু আমাদের দেশ নয়। সব দেশেই গল্পটা এক। কারণ, প্রকৃতি দেশের সীমানা মানে না। তাই উত্তর মেরু গলে গেলে ভারত কেন, সব দেশেরই বিপদ। আর তাই যে সব সংস্থা দূষণ বাড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠিন আইন তৈরি হবেই। এদের ব্যবসা করা ক্রমাগত কঠিন হয়ে উঠবে। আর এই চিন্তাতেই বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকতে শুরু করেছেন ইএসজি শেয়ারের দিকে।
যদি নিফটি ইসজি ১০০ সূচক দেখেন, তা হলে দেখবেন গত এক বছরে ২০ শতাংশের উপর লাভ দিয়েছে এই সূচক। এই জাতীয় শেয়ার নির্ভর মিউচুয়াল ফান্ডগুলিও লাভ দিয়েছে ২০ শতাংশের উপরে। গত এক বছরে। তিন বছরের লাভের হিসাবও মন্দ নয়। তাই বিনিয়োগ যদি হয় আগামী দিনের লাভের অঙ্ক, তা হলে চোখ রাখুন পরিবেশবান্ধব শেয়ারে বিনিয়োগ করা ফান্ডে।
প্রতিবেদক সঞ্চয় উপদেষ্টা। বক্তব্য নিজস্ব।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy