ছোট বড় প্রায় শতাধিক শিল্পী নিয়ে তিন ঘন্টার একটি নাচের অনুষ্ঠানে দর্শকদের টানটান ধরে রাখা ও এই দুরূহ কাজটি সার্থকভাবে করার জন্য ‘বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন’ প্রতিষ্ঠান শ্লাঘা বোধ করতেই পারে। গিরিশমঞ্চে রথীন্দ্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে উদ্বোধনী প্রদীপ জ্বলল। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিত্রপরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য। তার পর মান্না দের যন্ত্রবদ্ধ গানের সঙ্গে এক ঘণ্টার নৃত্যপর্ব। বেশ নতুনত্ব আছে। বারবার দেখতে ইচ্ছে করে ছোটদের নাচ ‘এক মুঠো পাখিদের মতো কিছু রোদ্দুর’ আর ‘লাল নীল সবুজের’। এবং ক্লাসিকাল আমেজে ‘বাজে গো বীণা’। পোশাক নির্বাচন নান্দনিক, সুন্দর। পঁচিশ-ত্রিশ জন বাচ্চাকে দিয়ে নৃত্যবিন্যাস সত্যিই সাহসের পরিচয়।
মধ্য পর্বে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তকে। তার পর কয়েকটি গানে শ্রোতাদের মন জয় করে নিলেন ইন্দ্রাণী সেন। আরম্ভ বিবেকানন্দের একটি গানে ‘নাহি সূর্য নাহি চন্দ্র’। তার পর রবীন্দ্রগান ‘পাগলা হাওয়ার’। নজরুলগীতি ‘ফিরে দেখ ফিরে’, জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘কেউ বলে ফাল্গুন’। সব শেষে মান্না দের ‘রঙ্গিনী কত মন’। নিজস্ব নিয়মিত যন্ত্রশিল্পীদের অনুপস্থিতিতে অক্টোপ্যাড, পারকাশন, তবলা আর হারমোনিয়ামকে সঙ্গী করে কী দাপটেই যে গাইলেন ইন্দ্রাণী।
শেষে ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘বীরপুরুষ’ অবলম্বনে একটি আলেখ্য। নাচ ও গান সহযোগে ছোটদের নাচের ভঙ্গি। ভাষাবদলের অংশে ‘বাল্মীকি প্রতিভা’র আংশিক প্রয়োগ সুপ্রযুক্ত যা কথাকলির আঙ্গিকে মানিয়েছে বেশ। শিঞ্জিনী বিশ্বাসের দস্যু-সর্দার প্রশংসনীয়। অবাক হতে হয় খোকার ভূমিকায় সুরুচি রায়কে দেখে। সাবলীল আর বুদ্ধিদীপ্ত। ওর মধ্যে নাচ আর অভিনয় দুই-ই আছে। নৃত্য পরিচালিকা জয়িতা বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়।
ভ্রম সংশোধন
গত শনিবারের ‘পত্রিকা’র প্রচ্ছদ কাহিনিতে ভ্রমবশত আমিন সায়ানি প্রয়াত ছাপা হয়েছে। এই ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা একাশি বছরের কিংবদন্তি বেতার শিল্পীর দীর্ঘজীবন কামনা করি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy