প্রতীকী ছবি
গাছের শখ থাকলে বারান্দা, ছাদ ভরে গেলেও আশ মেটে না। ধীরে ধীরে তারা ঢুকে পড়ে ঘরের ভিতরে। কিন্তু সকলের ঘরে তেমন পরিসর না-ও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে টেবিলের উপরেই ছোট বাগান করতে পারেন। বেশি জায়গাও লাগবে না। আবার রকমারি টবেরও প্রয়োজন নেই। দরকার শুধু একটু চিন্তাভাবনার।
শুধু সবুজ না কি রঙিন
এই ছোট বাগানের গাছ বাছুন প্রথমে। আগে ভেবে নিন, শুধু সবুজের ছোঁয়া চান, না কি রঙিন ফুল। সেই অনুযায়ী গাছ বাছুন। ছোট ছোট সাকুলেন্ট, বিভিন্ন ফার্ন, ভায়োলা বা টাইম ফ্লাওয়ারও বাছতে পারেন। একটি লম্বা পাত্রে পাশাপাশি অনেক সাকুলেন্ট রাখলেও ভাল দেখাবে।
মন্দ নয়, সে ‘পাত্র’ ভাল
এ বার বাছতে হবে গাছের পাত্র। যেহেতু ঘরের মাঝে টেবিলেই থাকবে, তাই এই পটও আকর্ষক হওয়া দরকার। নকশা করা সেরামিক পট কিনতে পারেন। ঘরের সুন্দর কফি কাপ বা কেটলিতেও গাছ লাগাতে পারেন। ছোট টবে গাছ পুঁতে তা বসাতে পারেন বেতের চুবড়িতে। দেখতেও ভাল লাগবে। আবার সরাসরি গাছের পাতা, মাটি পড়ে টেবিল নোংরা হবে না। আবার কাচের গ্লাসে নীচের দিকে রঙিন নুড়ি-পাথর ছড়িয়েও গাছ রাখতে পারেন। দেখতে সুন্দর লাগবে। ছোট কাচের শিশি, বোতলেও গাছ রাখা যায়। অফিস বা বাড়ির ডেস্কটপের পাশেও এমন একখানা গাছ লাগালে চোখের আরাম।
মাটি হোক খাঁটি
সাধারণত বাগান করার মাটি অনেক ভারী হয়। কিন্তু টেবিলে রাখার জন্য হাল্কা উপকরণ বেছে নেওয়াই ভাল। তার জন্য পারলাইটের সাহায্য নিতে পারেন। মাটি তৈরির সময়ে সার দিতে হবে ঠিকঠাক। মাটির পরিমাণ কম থাকায় গাছ যাতে পুষ্টি থেকে বঞ্চিত না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখাও জরুরি। তাই অল্পবিস্তর সারের সাহায্যও নিতে হবে।
প্রত্যেক দিন জল দিন
রোজ জল দিন। কিন্তু এমন ভাবে জল দেবেন না, যাতে মাটি উপচে পড়ে জলে। বরং স্প্রে বটল থেকে গাছে জল স্প্রে করতে পারেন। দিনে তিন-চার বার স্প্রে করুন। কিন্তু এক বারে একগাদা জল ঢেলে দেবেন না।
আলোও জরুরি
যে কোনও গাছের বৃদ্ধির জন্যই সূর্যালোক প্রয়োজন। ঘরের মাঝে গাছ থাকলেও মাঝেমাঝে বারান্দায় বা জানালার পাশে একটু রোদে রাখুন। ঘণ্টাখানেক হলেও ওকে আলো দিতে হবে।
টেবিলের গাছ কিন্তু খুব বেশি বাড়লে ভাল দেখাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy