Advertisement
১১ জানুয়ারি ২০২৫

রাতভোর সুর, রাতভর সম্প্রীতি

সারা বছর অপেক্ষা করে থাকা শীতের এই ক’দিনের জন্য। ডোভার লেন মিউজ়িক কনফারেন্সের ৬৮তম বর্ষশেষ দিনের মতো এই মধুর রসের আবেশই ছিল গোটা সম্মেলন জুড়ে।

আমান আলি খান, রাশিদ খান, অশ্বিনী ভিড়ে

আমান আলি খান, রাশিদ খান, অশ্বিনী ভিড়ে

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:০১
Share: Save:

অশান্ত সময়। সংকীর্ণ রাজনৈতিক গতি। চারপাশে অবিশ্বাসের বাতাস। তার মধ্যেই সুর-তাল-সঙ্গীতে সম্প্রীতির চিরকালীন ঐতিহ্যে অবগাহন করল কলকাতা। সে ঐতিহ্য এই উপমহাদেশের যুগসঞ্চিত বৈভব। ডোভার লেন মিউজ়িক কনফারেন্সের ৬৮তম বার্ষিক সম্মেলনে ২২ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি কলকাতার নজরুল মঞ্চ সাক্ষী রইল ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের শাখাপ্রশাখা-পল্লবিত সংস্কৃতির। এবং আবারও নন্দিত হল আবহমান চারুবন্ধন।

যেমন, সম্মেলনের শেষ দিনের শেষ শিল্পী প্রবীণ গায়ক পণ্ডিত যশরাজের কণ্ঠে একই সঙ্গে ধ্বনিত ‘আল্লা জানে’ আর ‘ভগবতে বাসুদেবায়’। এই বয়সেও তাঁর নিজের কণ্ঠের দাপট, সূক্ষ্মতা, আদায় এবং মধুর রস প্রতি মুহূর্তে চমকে দিয়ে যাচ্ছিল। মনে করিয়ে দিচ্ছিল ভারতীয় মার্গসঙ্গীতে তাঁর প্রতিষ্ঠাকে। সপাট-নিপাট চারুকেশী। ‘লাগে লা মোরা মন’। পরে গুর্জরি টোড়িতে ‘চলো সখি সৌতন কি ঘর’ আর মিয়াঁ কি টোড়িতে ‘আল্লা জানে’। শেষে ভজন।

শেষ দিনের মতো এই মধুর রসের আবেশই ছিল গোটা সম্মেলন জুড়ে। রবিশঙ্করের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর নামে এ বার উৎসর্গীকৃত ছিল সঙ্গীত সম্মেলন। অনুষ্ঠানের সূচনায় স্মরণ করা হল ডাগরবাণীর কণ্ঠশিল্পী রমাকান্ত গুন্ডেচাকে। এ বারের সঙ্গীত সম্মান অপর্ণ করা হল আশিস খানকে। প্রতিবারের মতোই এ বারও ডোভার লেন সঙ্গীত সম্মেলনে মঞ্চে এলেন স্বনামধন্য কৃতী শিল্পীরা এবং অপেক্ষাকৃত নবীন শিল্পীরা। কণ্ঠসঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, তালবাদ্যের নানা উপচারে এ বারও উষ্ণ হয়ে উঠল মাঘশীতের রবীন্দ্র সরোবর।

প্রথম দিনের প্রথম শিল্পী শাশ্বতী বাগচী। ক্লাসিক্যাল এবং সেমি-ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতে শ্রোতার সমীহ আদায় করা এই শিল্পী পরিবেশন করলেন রাগ যোগ। বিলম্বিত, মধ্যলয় এবং দ্রুতের মধ্যে নজর কেড়েছে শিল্পীর তারসপ্তক ছুঁয়ে যাওয়ার ভঙ্গি। একই সঙ্গে দু’টি গান্ধারকে আলাদা ভাবে যত্ন করার ভঙ্গিও ধরা পড়ছিল। ‘সজন মোর ঘর আয়ে’র মতো অতিপরিচিত বন্দিশটি দ্রুত লয়ে গিয়ে বরং কিঞ্চিৎ অস্পষ্ট।

অনুরাধা পালের নেতৃত্বে স্ত্রীশক্তি। সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা যাকে বিশ্বের প্রথম মেয়েদের মার্গসঙ্গীতের দল বলে উল্লেখ করে থাকেন। অনুরাধা পালের তবলা, রেবতী সদাশিবমের কর্নাটকী বীণা, রামাইয়া রমেশের ঘট্টম, মিতা নাগের সেতার আর কৃষ্ণপ্রিয়ার খঞ্জিরার সম্মেলক উপস্থাপনা। শুরুতে সাউন্ড-সিস্টেম কিছুটা সমস্যা করছিল। হয়তো সেই কারণেই উপস্থাপনা শেষের দিকে একটু দীর্ঘায়িত। শিল্পীদের পারস্পরিক বোঝাপড়া খানিক কম ছিল এ দিন। আকর্ষক ছিল নাতাইয়ে বাঁধা গণপতিম, রূপক-মিশ্র চাপুতে হিন্দোলম (মালকোষ) এবং রাগমালার অঁসম্বল, যা বিচরণ করেছে রাত থেকে ভোরের সুরে।

প্রথম দিনের আসরে পরের কণ্ঠশিল্পী ভেঙ্কটেশ কুমার শুরু করেছেন মারু বেহাগ দিয়ে। দ্রুত তিনতালে শিল্পীর অনায়াস দখল মনে রাখার মতো। মারু বেহাগের সৌন্দর্য ফুটে উঠছিল শিল্পীর দরাজ কণ্ঠ এবং মার্জিত গায়কিতে। একই কথা প্রযোজ্য তাঁর পরিবেশিত জয়জয়ন্তীর ঝাঁপতাল এবং দ্রুত তিনতাল প্রসঙ্গে। ছোট করে এসেছে মালকোষ তিন তালে মধ্য লয়ে। এসেছে দ্রুতে ‘রঙ্গরলিয়া করত সৌতনকে সঙ্গ’ বন্দিশে। সব শেষে ‘পায়ো জি ম্যায়নে’ও সুখশ্রাব্য। কিরানা, গ্বালিয়র তো বটেই, পাটিয়ালা ঘরানারও সুষম মিশ্রণ ঘটছিল প্রবীণ এই শিল্পীর কণ্ঠে।

মোর মুকুট কেডিয়া এবং মনোজকুমার কেডিয়ার সেতার-সরোদের যৌথবাদনে চন্দ্রনন্দনের উপস্থাপনা উপভোগ্য ছিল। এ দিনই বম্বে জয়শ্রীর কণ্ঠে হংসধ্বনি মনে রাখার মতো পরিবেশনা। ত্যাগরাজের ‘রঘুনায়ক’ অন্য মাত্রা পেয়েছিল। দক্ষিণী ভোরের রাগ বাওলিতে শিল্পীর ‘পার্বতী নায়কম’ এবং কর্নাটকী বল্লভিতে তুলসীদাসের ‘গোপালগোকুল বল্লভীপ্রিয়’ অসামান্য। শেষের পরিবেশনার পল্লবী অংশে এবং দুই চরণে শিল্পীর কণ্ঠের সমাহিত ভাব বড় প্রাপ্তি। তিল্লানার সুরমালা ছিল শিল্পীর শেষ পরিবেশনা, যে আঙ্গিকে জয়শ্রীর সব সময়েই অনায়াস বিহার।

প্রথম দিনের শেষে মোহনবীণা এবং সাত্ত্বিক বীণায় ছিলেন বিশ্বমোহন ভট্ট এবং সলিল ভট্ট। চারুকেশী। গৎ মধুরই ছিল। কিন্তু প্রায় গোটা পরিবেশনায় দ্বিতীয় শিল্পীর অতিরিক্ত কথা, প্রথম জনের প্রশংসায় মুখ দিয়ে নানা আওয়াজ করা কিছুটা বিঘ্নই ঘটাচ্ছিল। একই সঙ্গে বিশ্বমোহনের তুলনায় সলিলের বাদন অনেক বেশি ‘মেটালিক’ও লেগেছে ক্ষেত্রবিশেষে। যে কম্পোজ়িশনের জন্য বিশ্বমোহন গ্র্যামি পেয়েছিলেন, এ দিন শোনা গেল সেটিও।

দ্বিতীয় দিনের প্রথম শিল্পী ধ্রুপদিয়া উদয় ভাওয়ালকর। ইমনে শুরু। পেলব গায়কির পাশাপাশি মন্দ্রসপ্তকে অনুপম গাম্ভীর্য। একই সঙ্গে পাওয়া গেল মনভরানো তিলং। এর পরে হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার বাঁশি। প্রবীণ শিল্পীকে এ দিন শারীরিক ভাবে কিছুটা অশক্তই লেগেছে। প্রথমে আলাপ-জোড় জনপ্রিয়া রাগে, মধ্য লয়ে। তার পর রাগ দুর্গা, দ্রুত তিনতাল এবং শেষে ছ’মাত্রার ধুন পাহাড়িতে। হরিপ্রসাদের সঙ্গে বাঁশিতে ছিলেন আরও চার জন। পরিবেশনা হয়তো সেই কারণেই মাঝেমধ্যে একটু দীর্ঘায়িত।

মঞ্জিরী আসনারে-কেলকারের প্রথম পরিবেশনা কাফি কানাড়া। ‘লায়ি রে মাধ পিয়া’। তিনতাল নিবদ্ধ বিলম্বিত থেকেই জাদু শুরু। আদ্ধা দ্রুতে তার পূর্ণপ্রকাশ। হালকা করে ভাসিয়ে দেওয়া কণ্ঠের লাবণ্যে হাম্বির ভিন্ন মাত্র পেল ধ্রুপদ অঙ্গের চলনে। মধ্যলয় রূপকে আর দ্রুত একতালে। শেষে সোহিনী দ্রুত তিনতালে।

তাঁর ভাবনায় তৈরি দশ তারের স্টিরিয়োফোনিক ‘ডাবল ভায়োলিন’ নিয়ে মঞ্চে এলেন লক্ষ্মীনারায়ণ শঙ্কর। বাদ্যযন্ত্রের প্রয়োজনেই অনেকটা সময় লাগল মঞ্চ গুছিয়ে নিতে। ছ’মাত্রার পল্লবী উল্লেখযোগ্য পরিবেশনা। ঝালা পর্ব-সহ গোটা উপস্থাপনায় অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তবলা এবং সাই হরির ঘট্টমের সঙ্গে শঙ্করের বাদনের বোঝাপড়া ছিল অসামান্য। শেষের দাদরাটিও সুন্দর।

দ্বিতীয় দিনের শেষ শিল্পী কিরানা ঘরানার কৈবল্যকুমার। নট ভৈরব দিয়ে শুরু। সব অংশই খুব ছোট করে। কিন্তু স্পষ্ট গমক, তানকারি, ছুটতান। আলোর পাপড়ি ফোটাতে ফোটাতে ভোরের আগমনবার্তা। শিল্পীর বিমান ধরার তাড়া থাকায় দ্রুত বুড়ি-ছোঁয়া গোছের ব্যাপার ঘটল। যদিও তাঁর কণ্ঠমাধুর্যে অল্প পরিসরেই ফুটে উঠল স্বকীয়তা। শেষে ভৈরবীতে ‘যমুনা কে তীর’। ভোরের অপেক্ষমাণ শ্রোতারা আরও শুনতে চাইছিলেন তাঁকে।

তৃতীয় দিনের শুরুতে আরতি আঙ্কলিকারের মারু বেহাগ বিলম্বিত তিনতালে ভাল শুরু। দ্রুত তিনতালে একটু অবিন্যস্ত। পরের যুগ্ম শিল্পী সরস্বতীবীণায় জয়ন্তী সরস্বতী এবং বেহালায় আর কুমারেশের যৌথবাদন মোহিতই করল। কর্নাটকী কাপি রাগে (হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের পিলুর সমধর্মী) এই দুই শিল্পী মাত করে দিলেন। তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া ছিল দেখার মতো।

জয়পুর-আত্রাউলি ঘরানার কণ্ঠশিল্পী অশ্বিনী ভিড়ে রাত সাড়ে ১২টায় মঞ্চে এলেন। শুরু করলেন খেম কল্যাণ দিয়ে। বলেও নিলেন যে, সময়ের হিসেবে এ রাগ এখন যথাযথ না হলেও তিনি তা পরিবেশন করতে চান। এবং তাঁর পরিবেশিত ‘তুম বিন বালমা’ মন ছুঁয়ে যাওয়া। পরের বন্দিশ ‘মদনমোহন শ্যামসুন্দর’ খুব সুন্দর এবং তাকেও ছাপিয়ে গেল দ্রুত তিনতালে ‘তুম ছেড়ো না শ্যাম মোহে’। দ্রুত তিন তালে সববং বন্দিশ অসামান্য। শেষের দাদরা বহুশ্রুত ‘বেড়িয়া পিয়া কি’। শেষে সামান্য গলা সমস্যা করলেও শিল্পী মন ভরিয়েই দিলেন।

সুজাত হোসেন খান সম্পূর্ণ মালকোষ ধরলেন সেতারে। আরোহী-অবরোহী সপ্তস্বরের সাবলীল ক্রীড়াঙ্গন হয়ে উঠল। কখনও তরফে নিবিষ্ট হয়ে থাকা, কখনও মিড়-আশ-গমক-তানে ভাসিয়ে দেওয়া। আলাপ-জোড়-ঝালা প্রায় ৩৫ মিনিটের। বাদনের ক্রমশ নাটকীয় হয়ে ওঠা। মুহূর্তে ঝঙ্কৃত, মুহূর্তে স্তব্ধ পরের ঝঙ্কারের আগে। সুজাত ছিলেন সুজাতেই। তাই গানের অনুরোধের শেষে পেশ করলেন জনপ্রিয় কিছু বাংলা ও হিন্দি গান, কণ্ঠে-বাদনে। কিন্তু সে-পর্ব অপ্রয়োজনীয় ভাবে সামান্য লম্বা।

অজয় চক্রবর্তী শুরু করলেন নিজের কম্পোজ়িশন দিয়ে। আহির-ললিতে বাঁধা। রবিশঙ্করের স্মরণে ‘জাগে সবেরা’। বিলম্বিত। এর পরে রূপকে ‘জাগে জাগে সজনি’ এবং তিনতালে ‘মেরে ভালে-বুড়ে’। এর পরে ভৈরবী এবং ‘বাবুল মোরা’। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের একাধিক ঘরানায় পারদর্শী শিল্পীর পরিবেশনা ছিল মাধুর্যময়।

সম্মেলনের শেষ দিনের শুরুর শিল্পী ভজন সোপোরি ও অভয় রুস্তম সোপোরি। সন্তুর। সুফিয়ানা ঘরানা। বাগেশ্রী। আলাপ, জোড়, ঝালা। কৌশি কানাড়া নিবদ্ধ গৎ। একখণ্ড কাশ্মীরের মঞ্চে উঠে আসা। সন্তুরে আলাপ জমে না। মিড় প্রাণ পায় না। কিন্তু পিতা-পুত্রের যৌথবাদনে, বিলম্বিতে-বিস্তারে ছোট ছোট চমকের মতো ফুটে উঠছিল মিড়ের আভাস।

রাশিদ খান শুরু করলেন যোগকোষ দিয়ে। বড় পরিসরের খেয়াল পরিবেশনা। সুঠাম কণ্ঠ, গায়কি, উপস্থাপনা। শ্রোতাদের আপ্লুত করলেন শিল্পী। শেষ শীতে এনে দিলেন বসন্তের আগাম আভাস তাঁর পরের উপস্থাপনায়। ছিল ঠুমরিও। তাঁর সুকণ্ঠ ছাড়াও বড় প্রাপ্তি ছিল বিজয় ঘাঠের তবলা সঙ্গত।

এর পরের আয়োজন ‘রিদম কনসার্ট’। ঘট্টমে ভিক্কু বিনায়ক্রম, খঞ্জিরায় সিলভাগণেশন ও ভি স্বামীনাথন, মরসিংয়ে উমাশঙ্কর গণেশন। পরিবেশিত হল কর্ণাটকী সঙ্গীতের নানান তাল-ছন্দের কোলাজ। শিল্পীরা শ্রোতাদের সংযুক্ত করতে চাইলেন তাঁদের বাদনের সঙ্গে করতালির মাধ্যমে। কিন্তু সব কিছুর পরেও গোটা বিষয়টি শব্দকোষ মাত্র হয়েই থেকে গেল। তেমন দানা বাঁধল না। অবশ্যই প্রবীণ শিল্পী ভিক্কু বিনায়ক্রমকে মঞ্চে পাওয়া কলকাতার সৌভাগ্যই।

আমান আলি খান এ বারের সম্মেলনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। রাত আড়াইটে নাগাদ নন্দকোষ দিয়ে শুরু করলেন। ছোট আলাপের পর সরাসরি গৎ। এই রাগটির প্রতি একটু অন্য টানই আছে বোধ হয় সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী আর চিন্ময় লাহিড়ির সূত্রে। আমান অল্প পরিসরের মধ্যেই মঞ্চে রাগটির ভাব প্রতিষ্ঠা করে দিলেন। পরের মিয়াঁ কি টোড়ি পূর্ণাঙ্গ এবং অতুলনীয়। আমান যখন আনন্দভৈরব ধরছেন, তখন ঘড়ির কাঁটা প্রায় ভোর চারটে ছুঁইছুঁই। কম্পোজ়িশনটি তাঁর পারিবারিক। আমানের সরোদ বাদনের চেয়ে বেশি কিছুই ছিল। গানের আস্তর মাখছিল তা বারেবারে। গোটা পরিবেশনায়

স্পষ্ট ছিল পরম্পরার মাধুর্য, যে পরম্পরার প্রতি তাঁর সম্মানের কথা অনুষ্ঠান শেষে বিনীত ভাবে উল্লেখও করলেন শিল্পী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তবলায় বিজয় ঘাঠে। দু’জনের আদানপ্রদান ও সম্মিলন মায়াজাদু তৈরি করছিল মঞ্চে।

চার দিন ধরে যাঁরা সঙ্গত করেছেন তবলা মৃদঙ্গম, হারমোনিয়াম, ঘট্টম, পাখোয়াজ প্রভৃতিতে, তাঁরা প্রত্যেকেই সম্ভব করে তুলেছেন এই সম্মেলনটিকে সফল হয়ে উঠতে। এঁদের মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, জ্যোতি গোহ, সমর সাহা প্রমুখ।

পরিশেষে একটি কথা। সুন্দর পরিবেশ। সুন্দর আয়োজন। কিন্তু বিঘ্ন ঘটানোর দু’টি বিষয় এ বারও মজুত ছিল। প্রেক্ষাগৃহে মধ্যরাতের ঘরের ঘুম উদ্‌যাপনের কারণে নাসিকাগর্জন এবং মঞ্চের সামনে দিয়ে হেঁটে গিয়ে শিল্পীর মনঃসংযোগ নষ্ট করার সাবলীলতা। এটুকুই বেদনার।

ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

অন্য বিষয়গুলি:

Dover Lane Music Conference
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy