Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Viral

ব্যক্তিগত কথা শুনছে, স্বীকার করে নিল গুগল!

স্মার্ট ফোন, গুগল হোমের মতো স্মার্ট হোম স্পিকার বা অন্য কোনও ডিভাইসের মাধ্যমে অনেক সয়ম ব্যবহারকারিদের অজ্ঞাতেই রেকর্ড হয়ে যায় তাঁদের কথাবার্তা। যার মধ্যে ব্যবহারকারিদের নাম, বাড়ির ঠিকানা, পরিবারে অন্যান্য সদস্যদের নামের মতো ব্যক্তিগত তথ্যও থাকে

গুগল ইকো। ফাইল চিত্র

গুগল ইকো। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ১৭:২৫
Share: Save:

গুগল স্বীকার করে নিল, তারা আপনার ব্যক্তিগত কথাবার্তা শোনে। বেলজিয়ান পাবলিক ব্রডকাস্টার, ভিআরটি এই খবর প্রকাশ্যে আনে। তারা ডাচ ভাষায় রেকর্ড হওয়া কিছু অডিয়ো প্রকাশ্যে আনে। তারপরেই গুগল স্বীকার করে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স-অ্যাসিস্ট্যান্সে রেকর্ড হওয়া কণ্ঠস্বর তারা শোনে।

ভিআরটি তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সচেতন ভাবে রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর শোনে গুগল। কিন্তু তারা এমনও কথাবার্তা শোনে যা কখনও রেকর্ডই করা হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে এই সব কথাবার্তার মধ্যেখুব সংবেদনশীল তথ্যও থাকে।

গুগলের প্রোডাক্ট ম্যানেজার অফ সার্চ ডেভিড মনসেস, কোম্পানির একটি ব্লকে স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁদের ভাষা বিশেষজ্ঞরা সারা বিশ্বে রেকর্ড করা এই সব কথা শোনেন। ভাষা প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য এটা করা হয় বলে তাঁর দাবি।

গুগলের দাবি, যে সমস্ত অডিও রেকর্ড হয় তার মাত্র ০.২ শতাংশই শোনা হয়। এই অডিও ক্লিপিংগুলি নাকি পরিচয় ছাড়াই রেকর্ড করা হয়। ব্যবহারকারিদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন থাকে। সেই সঙ্গে আরও দাবি করা হয়েছে, যে কথাবার্তা রেকর্ড হয় তার পিছনে যে কথা বা শব্দ শোনা যায় সেগুলি ভাষা বিশেষজ্ঞরা শোনেন না।

আরও পড়ুন : সাংবাদিকের পা জড়িয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার আকুতি সারমেয়র

আরও পড়ুন : মাইন বিছানো পথ পেরিয়ে পাক শিশুর দেহ ফিরিয়ে দিয়ে এল ভারতীয় সেনা!

ভিআরটি দাবি করেছে, স্মার্ট ফোন, গুগল হোমের মতো স্মার্ট হোম স্পিকার বা অন্য কোনও ডিভাইসের মাধ্যমে অনেক সয়ম ব্যবহারকারিদের অজ্ঞাতেই রেকর্ড হয়ে যায় তাঁদের কথাবার্তা। যার মধ্যে ব্যবহারকারিদের নাম, বাড়ির ঠিকানা, পরিবারে অন্যান্য সদস্যদের নামের মতো ব্যক্তিগত তথ্যও থাকে।

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট চালু করতে গেলে বলতে হয় “ওকে গুগল”, অথবা বোতাম টিপতে হয়। যদিও সংখ্যায় খুব কম, তাও গুগল স্বীকার করেছে অনেক ক্ষেত্রে “ওকে গুগল” না বলা সত্বেও শব্দ রেকর্ড শুরু হয়ে যায়। গুগলের দাবি, অনেক সময় প্রচুর নয়েজ থাকার ফলেই এটা হয়ে যায়।

চলতি বছরের শুরুর দিকে অ্যামাজন স্বীকার করে ‘খুব কম পরিমান নমুনা’ তারা শোনে। অ্যামাজনের অ্যালেক্সা সিস্টেম ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট পরিষেবা দেয়। অ্যামাজনকে এটা স্বীকার করতে হয় কারণ মার্কিন সংস্থা ব্লুমবার্গ জানায়, বিশ্ব জুড়ে হাজার হাজার অ্যামাজনের কর্মী অ্যালেক্সা ব্যবহারকারিদের বাড়ির ও অফিসের কথাবার্তা শোনে। তারপরেই অ্যামাজনকে এই স্বীকারোক্তি দিতে হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Artificial Intelligence Google Audio Amazon
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy