Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
WHO

এ বার হু-এর কোভিড মানচিত্রে ভারত থেকে আলাদা জম্মু-কাশ্মীর, বিতর্ক

ভারত সরকারি ভাবে এখনও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তবে হু-এর দাবি, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানচিত্র সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনেই করা হয়েছে।

হু-এর এই মানচিত্র ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

হু-এর এই মানচিত্র ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:১২
Share: Save:

টুইটার, উইকিপিডিয়ার পর ভারতের ভুল ম্যাপ প্রকাশ করে এ বার বিতর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের থেকে আলাদা করতে ব্যবহার করা হয়েছে অন্য রং। আর তাতেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। আকসাই চিনের পুরো অংশও অন্য রঙে দেখানো হয়েছে। ভারত সরকারি ভাবে এখনও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না করলেও নানা মহল থেকে এর বিরুদ্ধে জোরালো হচ্ছে জনমত। এর পিছনে চিনের হাত থাকতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।

কোন দেশে কোভিড সংক্রমণের হার কেমন, সেই চিত্র তুলে ধরতে হু-এর ড্যাশবোর্ডে ভারতের ম্যাপ রয়েছে। তাতে ভারতের মূল ভূখণ্ডকে নীল রঙে দেখানো হয়েছে। কিন্তু নবগঠিত দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে দেখানো হয়েছে ছাই রঙে। অন্য দিকে আকসাই চিনকে দেখানো হয়েছে ছাই রঙের উপর নীল স্ট্রাইপে, যা চিনের প্রতীক। তবে হু কর্তৃপক্ষের দাবি, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানচিত্রের যে নির্দেশিকা রয়েছে, সেটাই তাঁরা অনুসরণ করেছেন।

কিন্তু এতে বেজায় ক্ষুব্ধ বিদেশে ভারতীয় নাগরিকদের একাধিক সংগঠন। বিষয়টি প্রথম লক্ষ করেন লন্ডনে কর্মরত এক তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তিনিই বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি দেখার পর আমি মর্মাহত যে হু-এর মতো একটি সংগঠন, যার উপর এত বড় দায়িত্ব, সেই সংগঠন এমন কাজ করতে পারে।’’

আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখীর ‘প্রায়শ্চিত্ত’ মিছিল সোমবার, আলাদা মিছিল সেই রাকেশেরও

এর পিছনে চিনের মদত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘জানি, চিন ও পাকিস্তান বিরাট অঙ্কের অনুদান দেয় হু-কে। চিনও সীমান্ত ইস্যুকে সব সময় ভাসিয়ে রাখতে চায়। আমার মনে হয়, এতে মদত রয়েছে চিনের। কারণ হু-এর উপর চিনের বিরাট প্রভাব।’’

ভারতীয় নাগরিকদের একটি সংগঠন ‘রিচ ইন্ডিয়া (ইউকে)’-র সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান নন্দিনী সিংহ বলেন, করোনার মোকাবিলায় ভারত যা করেছে, যে ভাবে বিপুল সংখ্যক পিপিই কিট দিয়েছে, তার জন্য ধন্যবাদের পরিবর্তে ভারতের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। হু-এর উচিত এর জন্য ভারতের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং ম্যাপ শুধরে নেওয়া।

আরও পড়ুন:

২০২০-র নভেম্বর মাসে প্রায় একই রকম ভুল করেছিল টুইটার। এই মাইক্রোব্লগিং সাইটে লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকাকে চিনের অংশ হিসেবে দেখানো হয়। তার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি টুইটার কর্তৃপক্ষকে তলব করে। কমিটিতে ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি বিষয়টি শুধরে নিয়ে ভারতের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় টুইটার। তার পর উইকিপিডিয়াও প্রায় একই ধরনের ভুল করে ডিসেম্বরের গোড়ায়। তারাও পরে বিষয়টি শুধরে নেয়।

অন্য বিষয়গুলি:

WHO Ladakh Jammu and Kashmir
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE