কম্বল তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে অবস্থান তুলতে এ বার নয়া পন্থা নিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। রাতের অন্ধকারে মহিলা বিক্ষোভকারীদের লেপ-কম্বল কেড়ে নিয়ে গেল তারা। কেড়ে নেওয়া হল থালা-বাসন, খাবারও।
শনিবার রাতে লখনউয়ে ওল্ড কোয়ার্টারের কাছে ঘণ্টাঘর এলাকায় এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়ো ছড়িয়েছে। তাতে যোগী সরকারের দমননীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা।
সিএএ এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) বিরোধিতায়পাঁচ শতাধিক মহিলা গত একমাস ধরে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। তাঁদের অনুপ্রেরণাতেই শুক্রবার থেকে ঘণ্টাঘরের কাছে জমা হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মহিলারা। ছিল কচিকাঁচারাও। প্রচণ্ড ঠান্ডা থেকে বাঁচতে লেপ কম্বল নিয়ে বসেছিলেন তাঁরা।
No words. 🤣🤣🤣#कम्बल_चोर_यूपी_पुलिस pic.twitter.com/yaHjvn32e2
— owlet's scritch (@Varishaaaa) January 18, 2020
এই ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: পবনের হয়ে জাল নথি আদালতে, নোটিস নির্ভয়ার ধর্ষকদের আইনজীবীকে
কিন্তু সন্ধ্যা পেরোতেই সেখানে হাজির হয় পুলিশের একটি দল। লেপ-কম্বল কেড়ে নিতে শুরু করে তারা। খাবার এবং থালা-বাসনও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে ‘কম্বল চোর’ বলে দাগিয়েছেন কেউ কেউ।আবার কটাক্ষও করেছেন কেউ কেউ। প্রশ্ন উঠেছে, ‘‘প্রভুরা ওই কম্বল মুড়ি দিয়ে ঠিকঠাক ঘুমিয়েছেন তো?’’ কোন আইনে বিক্ষোভকারীদের কম্বল কেড়ে নেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
#KAMBALCHOR_UPPOLICE police taking away quilt, utensils etc. in lukhnow at ghanta ghar during women's peaceful protest against #NRC, #CAA. Is this police unable to think before doing something against constitution or only follow government order. Shame shame
— Shahnoor khan (@Mehboobkhan542) January 19, 2020
Hope the masters slept well under these blankets #KAMBALCHOR_UPPOLICE #Lucknow_Bhi_ShaheenBagh #notoviolence #dissentisdemocracy
— Puja Awasthi (@pujaawasthi) January 19, 2020
নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: সিএএ চালু করতে বাধ্য রাজ্য: সিব্বল
তবে সে সবে কান দিতে নারাজ উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাদের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘‘ঘণ্টাঘরের কাছে বেআইনি বিক্ষোভ চলছিল। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও তাঁবু খাটানোর চেষ্টা চলছিল। একটা দল কম্বল বিলি করছিল। যাঁরা বিক্ষোভে অংশ নেননি, তাঁরাও কম্বল নিতে এসেছিলেন। সেখান থেকে ভিড় হঠাতেই আমাদের নামতে হয়। আর তা করতে গিয়েই নিয়ম মেনে কম্বল বাজেয়াপ্ত করা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy