Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
DHFL

ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত সংস্থায় প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা! প্রশ্নের মুখে যোগী সরকার

জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) এবং কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট (সিপিএফ) মিলিয়ে ওই সংস্থায় মোট ২৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে উত্তরপ্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড (ইউপিপিসিএল)।

অস্বস্তিতে যোগী সরকার। —ফাইল চিত্র।

অস্বস্তিতে যোগী সরকার। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৫২
Share: Save:

প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত দিওয়ান হাউসিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (ডিএইচএফএল) সংস্থায় সরকারি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা বিনিয়োগ করায়, এ বার প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারদাউদ ইব্রাহিমের প্রাক্তন সহকারী ইকবাল মির্চির সঙ্গে যোগসাজশ থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই ওই সংস্থার প্রোমোটারদের জেরা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার পরেও ওই সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করা হল কেন, এই প্রশ্নই অস্বস্তি বাড়িয়েছে যোগী সরকারের।

একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে জানা গিয়েছে, জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) এবং কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট (সিপিএফ) মিলিয়ে ওই সংস্থায় মোট ২৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে উত্তরপ্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড (ইউপিপিসিএল)। বিষয়টি জানতে পেরেই সম্প্রতি প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীদের ইউনিয়ন। ইউপিপিসিএল-এর চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে জবাব চাওয়া হয়েছে দুই ইউনিয়নের তরফ থেকে।

এই হইচইতে নড়েচড়ে বসেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। বিষয়টি নিয়ে কড়া আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের ডিরেক্টর সুধীর আর্য। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে ওই সংস্থাকেই কেন বেছে নেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও, বিদ্যুৎ দফতরের এমপ্লয়িজ ট্রাস্টের জেনারেল ম্যানেজার পিকে গুপ্তকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের মুখ্যসচিব অলোককুমার।

আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখীর নিমন্ত্রণ এড়িয়ে গেল তৃণমূল, সৌজন্য রক্ষা করলেন বিজেপি নেতারা​

আরও পড়ুন: মুঘলদের মতো হুমকি দিচ্ছে বিজেপি, তোপ দাগল শিবসেনা​

কিন্তু এতেও অসন্তোষ কমছে না বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের। বরং যেনতেন প্রকারে ওই সংস্থা থেকে টাকা বার করে আনতে হবে বলে দাবি তুলেছে ইঞ্জিনিয়ার দের সংগঠন (ইউপিএসইবিইএ)। তাদের সাধারণ সম্পাদক রাজীবকুমার সিংহ বলেন, ‘‘ডিএইচএফএল-এ এখনও ১৬০০ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানতে পেরেছি আমরা। সরকারকে এই টাকা ফিরিয়ে আনতেই হবে।’’ ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনও বেসরকারি সংস্থায় জিপিএফ এবং সিপিএফ-এর টাকা বিনিয়োগ করা হবে না বলে সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে এ নিয়ে যোগী সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সাফাই দেওয়া হয়নি। কার মধ্যস্থতায় ওই সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করা হল, জানা যায়নি তা-ও।

তদন্তমূলক সাংবাদিকতার জন্য পরিচিত এক নিউজ পোর্টালের হাত ধরেই এ বছরের শুরুতে ডিএইচএফএল দুর্নীতির পর্দাফাঁস হয়। জানা যায়, ৩২টি ব্যাঙ্ক থেকে মোট ৯৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে ডিএইচএফএল। সেই টাকাতেই সংস্থার প্রোমোটার বা তাঁদের পরিচিতদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থাকে প্রচুর টাকা ধার দিয়েছে তারা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বহু সংস্থার ডিরেক্টর ও অডিটরের নাম, এমনকি ই-মেল আইডি পর্যন্ত এক। অথচ সে সব না দেখেই টাকা দেওয়া হয় তাদের। পরে সেই টাকা দেশের বাইরে সরিয়ে সংস্থার প্রোমোটারদেরই বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রকল্পে ঢালা হয় বলে অভিযোগ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy