ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। রুদ্রসাগরে।
ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট, মহাভারত, গৌতম বুদ্ধ, ডায়ানা হেডেনের পর এ বার হাঁস।
হাঁসের জলক্রীড়ার সঙ্গে মাছের জীবন জুড়ে দিয়ে ‘বৈজ্ঞানিক’ ব্যাখ্যায় নেমে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
হাঁস জলে ছাড়লে কী ভাবে পুকুর, ঝিলের প্রাণীদের উপকার হয়, মঙ্গলবার তার ‘বৈজ্ঞানিক’ ব্যাখ্যা দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। রুদ্রসাগরে ‘নৌকা রেস’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে।
বিপ্লব বলেন, ‘‘হাঁস জলে সাঁতার কাটলে পুকুর, ঝিলে অক্সিজেনের মাত্রা আপনাআপনিই বেড়ে যায়। সেই বাড়তি অক্সিজেনটা জলজ প্রাণীদের কাজে লাগে। মাছেরা শ্বাসের জন্য আরও অক্সিজেন পায়। পুকুর, ঝিলে পাখিদের ফেলা মল-মূত্র থেকেও উপকার হয় মাছ-সহ জলজ প্রাণীদের। এতে একেবারে প্রাকৃতিক নিয়মেই মাছ দ্রুত বাড়ে।’’
আরও পড়ুন- মাত্র দেড় মাসেই বিপ্লবের গুগলিতে দিশাহারা বিজেপি
আরও পড়ুন- কথা না বলেই ভাঙা হচ্ছে অফিস, ক্ষোভ মানিকের
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘বৈজ্ঞানিক’ ব্যাখ্যা শুনে চোখ কপালে উঠেছে বিজ্ঞানীদের! তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, হাঁস জলে নামলেই যদি ঝিলে, পুকুরে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায়, তা হলে তো জলের রাসায়নিক ফর্মুলাই (দু’টি হাইড্রোজেন আর একটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গড়া জলের একটি অণু। তাই বিজ্ঞানের পরিভাষায় জলকে বলা হয়, ‘ডাই-হাইড্রোজেন অক্সাইড) বদলে যাবে!
এ বছর ত্রিপুরার মসনদে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করতে শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
প্রথমে বলেছিলেন, মহাভারতের যুগে, সেই প্রাচীন ভারতেও ইন্টারনেট আর কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যবহার ভারতীয়রা জানতেন। তার পর বিপ্লব-বচন ছিল, গৌতম বুদ্ধ সমুদ্রের ওপর দিয়ে হেঁটে জাপানে গিয়েছিলেন। আর তার পর বিপ্লব বলেছিলেন, ‘‘মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার কোনও যোগ্যতাই ছিল না ডায়ানা হেডেনের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy