Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Thiruvananthapuram airport privatisation

‘১৭০ কোটি লাভ, তিরুঅনন্তপুরম তবু কেন আদানির’

বুধবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

গৌতম আদানি

গৌতম আদানি

নিজস্ব সংবাদদাতা
তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২০ ০২:৪৪
Share: Save:

কেরলের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরকে গৌতম আদানিদের হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জোরালো হচ্ছে কেরলে। বুধবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের দুই বাম সাংসদ বিনয় বিশ্বম এবং এলামারাম করিম বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীকে চিঠি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যে বিমানবন্দর থেকে বছরে ১৭০ কোটি টাকার মুনাফা হচ্ছে, তাকে কেন বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে? তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরের পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব যদি অন্যের হাতে তুলেই দিতে হয়, তা হলে কেরল সরকার চাওয়া সত্ত্বেও কেন তাদের দেওয়া হল না কেন?

বিমানমন্ত্রী পাল্টা বলেছেন, নিয়ম মেনেই আদানির সংস্থাকে বিমানবন্দর পরিচালনার ভার দেওয়া হয়েছে। নিলামে কেরল রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম (কেএসআইডিসি)-র দেওয়া দর ১০ শতাংশ কম হলেও তাদেরই বিমানবন্দর পরিচালনার ভার দেওয়া হত। কিন্তু আদানির সংস্থা যেখানে যাত্রীপিছু ১৬৮ টাকা দেওয়ার কথা বলেছে, সেখানে কেএসআইডিসি দর দিয়েছে ১৩৫ টাকা। অর্থাৎ, ১৯.৬৮ শতাংশ কম।

আরও পড়ুন: সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে সিবিআইকে ‘স্বাগত’ জানিয়েও কটাক্ষ মহারাষ্ট্রের​

কিন্তু বাম সাংসদদের বক্তব্য, তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের জন্য যে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল তার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেরল হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। সেই মামলা চলাকালীনই এ ভাবে আদানিদের কী করে ৫০ বছরের জন্য বিমানবন্দর পরিচালনার বরাত দেওয়া হল? সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোগ, ‘‘বিমানবন্দর বেসরকারিকরণ আসলে জাতীয় সম্পদ লুটের নামান্তর। এ ভাবে দলীয় তহবিলে টাকা তোলার উপায় খোঁজা হচ্ছে। এটা বড়সড় তছরুপ ছাড়া কিছুই নয়।’’ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘প্রথমে আমদাবাদ, লখনউ ও মেঙ্গালুরু বিমানবন্দর আদানিদের হাতে তুলে দেওয়া হল। এখন জয়পুর, গুয়াহাটি এবং তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার নাম হবে আদানি এয়ারপোর্টস অব ইন্ডিয়া।’’

আরও পড়ুন: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে সময় ভূষণকে

তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর আদানি গোষ্ঠীর হাতে যাক সেটা কেরলের মানুষ চান না বলে দুই বাম সাংসদ এবং মুখ্যমন্ত্রীর দাবি। বলা হয়েছে, এই গোষ্ঠীর বিমানবন্দর পরিচালনার কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। উল্টে কেরল সরকার গত কয়েক বছর ধরে সফল ভাবে কেরলের কান্নুর এবং কোচি বিমানবন্দর পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের কাজ করছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy