Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪
National News

মদ্যপ ছেলের মারধরে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁকে পুড়িয়ে মারলেন মা-বাবা!

স্থানীয়দের দাবি, মহেশের স্ত্রীও তাঁর অত্যাচারের শিকার ছিলেন। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মাস দু’য়েক আগেই বাপের বাড়িতে চলে যান তিনি। তার পর থেকেই ওই দম্পতির উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৪৪
Share: Save:

মদ্যপ ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন মা-বাবা। মত্ত হয়ে ঝামেলা করা, টাকাপয়সা চেয়ে অশান্তি করা, এমনকি মারধরও জুটত তাঁদের। দিনের পর দিন এমনই চলছিল। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ছেলেকে বেঁধে জীবন্ত পুড়িয়ে মারলেন তাঁরা। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে তেলঙ্গানার বরাঙ্গল গ্রামীণ জেলার।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কে মহেশ চন্দ্র (৪২)। বরঙ্গল এগ্রিকালচার মার্কেটের কেরানি মহেশ ঘটনাস্থলেই মারা যান। ছেলেকে খুনের অভিযোগে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, হায়দরাবাদ থেকে প্রায় দু’শো কিলোমিটার দূরে মুস্থায়ালাপল্লি গ্রামের বাসিন্দা কে প্রভাকর এবং বিমলার ছেলে মহেশ প্রায়শই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন। তার পর শুরু হত তাঁর অত্যাচার। মদ খাওয়ার টাকা চেয়ে নিত্য দিনই অশান্তি করতেন তিনি। প্রায় রোজই মারধর জুটত প্রভাকর-বিমলার।

আরও পড়ুন: ৬০ আসনেই ঘুরবে ভাগ্য, তৃণমূলকে হিসেব পিকের

স্থানীয়দের দাবি, মহেশের স্ত্রীও তাঁর অত্যাচারের শিকার ছিলেন। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মাস দু’য়েক আগেই বাপের বাড়িতে চলে যান তিনি। তার পর থেকেই ওই দম্পতির উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: ‘এক দিন তো ফৌজ সরাতেই হবে, তার পর?’

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরার পর মা-বাবার সঙ্গে মহেশ ঝামেলা শুরু করেন। এক সময় তাঁদের মারতে থাকে। ছেলের মারধর সহ্য করতে না পেরে মহেশকে একটি বেঁধে ফেলেন তাঁরা। এর পর তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান মহেশ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা। মহেশের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মহেশের মা-বাবাকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Telangana Crime Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE