Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Online Education

অক্ষরজ্ঞান বেড়েছে, প্রশ্নে অনলাইন পাঠ

দেশের মাত্র ১০.৭% পরিবারের কম্পিউটার রয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে মাত্র ২৩.৮% পরিবারে।

২৮% পড়ুয়া ইন্টারনেট সংযোগ, এমনকি বিদ্যুতের ঘাটতির জন্যেও সমস্যায় পড়ছে।

২৮% পড়ুয়া ইন্টারনেট সংযোগ, এমনকি বিদ্যুতের ঘাটতির জন্যেও সমস্যায় পড়ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৩৮
Share: Save:

সাক্ষরতার হার পশ্চিমবঙ্গে আরও বাড়ল। কিন্তু করোনা অতিমারির সময় অনলাইনে পড়াশোনা কতখানি বাংলার তথা দেশের পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সমীক্ষা।

শিক্ষার বিষয়ে সদ্য প্রকাশিত জাতীয় নমুনা সমীক্ষা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে সাক্ষরতার হার ৮০.৫%-এ পৌঁছেছে। কিন্তু রাজ্যের মাত্র ৯.৪% পরিবারের কম্পিউটার রয়েছে। মাত্র ১৬.৫% পরিবারের কাছে ইন্টারনেটের সুবিধা রয়েছে।

গোটা দেশেই অবশ্য এ ক্ষেত্রে ছবিটা তেমন ভাল নয়। সমীক্ষা তাই বলেছে। দেশের মাত্র ১০.৭% পরিবারের কম্পিউটার রয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে মাত্র ২৩.৮% পরিবারে। দিল্লি, কেরল, হরিয়ানা, পঞ্জাবের মতো হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্য বাদ দিলে বাকি সব রাজ্যেই ছবি এমন করুণ।

করোনার পরে লকডাউনের জেরে অনলাইনে স্কুলের ক্লাস, এমনকি পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকেই পড়ুয়াদের মধ্যে ‘ডিজিটাল বিভাজন’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক বারবার বলেছেন, অতিমারির প্রকোপে স্কুলের শিক্ষার ধরন এ বার থেকে পাকাপাকি ভাবেই বদলে যাবে। কম্পিউটার-ইন্টারনেট নির্ভরতা অনেকটাই বেড়ে যাবে। কিন্তু বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন অভিযোগ তুলেছিল, দেশের অধিকাংশ পরিবারেই কম্পিউটার বা ইন্টারনেট সংযোগ নেই। তা হলে গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা কী ভাবে পড়াশোনা করবে?

আরও পড়ুন: গবেষণার জন্য বরাদ্দে জোর রাষ্ট্রপতিরও

আরও পড়ুন: শীতেও কি সেনা থাকছে লাদাখে?

পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সমীক্ষা কার্যত এই অভিযোগেই সিলমোহর দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, ওই সমীক্ষা ২০১৭-র জুলাই থেকে ২০১৮-র জুন পর্যন্ত চলেছে। তার পরে মোবাইলে ইন্টারনেট পরিষেবা সস্তা হয়ে যাওয়ায়, স্মার্টফোনের দৌলতে এখন ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে। ফলে এখন পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।

তবে শতকরা ১০০ ভাগ পড়ুয়া অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারছে, এমন দাবি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকও করছে না। কারণ কিছু দিন আগেই সিবিএসই স্কুল, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এবং জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক, অভিভাবকদের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ এনসিইআরটি। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২৭% পড়ুয়া ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোন হাতে পাচ্ছে না। ২৮% পড়ুয়া ইন্টারনেট সংযোগ, এমনকি বিদ্যুতের ঘাটতির জন্যেও সমস্যায় পড়ছে।

শিক্ষা নিয়ে জাতীয় নমুনা সমীক্ষা অনুযায়ী, সাক্ষরতার হারে রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ দশম স্থানে রয়েছে। ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে সাক্ষরতার হার ৭৬.২৬% ছিল। তারও দশ বছর আগে, ২০০১-এর জনগণনায় রাজ্যের সাক্ষরতার হার ছিল ৬৮.৬৪%। পশ্চিমবঙ্গে সাক্ষরতার হার ২০১৭ ও ২০১৮-র মধ্যে ৮০.৫%-এ পৌঁছেছে। মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হারও অনেকখানি বেড়েছে। ২০০১-এ ছিল ৫৯.৬১%, ২০১১-য় তা বেড়ে ৭০.৫৪%-এ পৌঁছয়। এখন তা ৭৬.১%-এ পৌঁছেছে।

সাক্ষরতার হারে বরাবরের মতোই কেরল প্রথম। দক্ষিণের এই রাজ্যে সাক্ষরতার হার ৯৬.২%। কিন্তু দক্ষিণের আর এক রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ মাত্র ৬৬.৪% সাক্ষরতার হার নিয়ে একেবারে শেষ স্থানে রয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Online Education Literacy Rate
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy