ফাইল চিত্র।
বিধায়ক বা সাংসদ পদ খারিজের অধিকার স্পিকারের হাতে থাকা উচিত কি না তা বিবেচনা করে দেখতে সংসদকে পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের বেঞ্চের পরামর্শ, সাংসদ-বিধায়ক পদ খারিজের অধিকার কোনও স্বাধীন সংস্থাকে দেওয়ার কথা বিবেচনা করে দেখা উচিত সংসদের। বিচারপতিদের বক্তব্য, ‘‘স্পিকারও একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য।’’
মণিপুরের বনমন্ত্রী টি এইচ শ্যামকুমার কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জিতে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য মণিপুর বিধানসভার স্পিকারের কাছে আবেদন জানান কংগ্রেস বিধায়ক ফজুর রহিম ও কে মেঘচন্দ্র। কিন্তু স্পিকার সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন ওই দুই বিধায়ক। আজ সেই মামলার রায়েই এই মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি মণিপুর বিধানসভার স্পিকারকে শ্যামকুমারের বিধায়ক পদ নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে কোর্ট।
পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক জন বিধায়ক কংগ্রেস ও বাম দলগুলি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস ও বাম। কিন্তু কোনও দলত্যাগীর বিষয়েই সিদ্ধান্ত হয়নি। লোকসভা ও রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য মানস ভুঁইয়া, খগেন মুর্মু, আবু তাহেরের মতো কয়েক জন দলত্যাগী নেতা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy