—ফাইল চিত্র।
এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনীতিতে দুবৃত্তায়ন রোখার রূপরেখা ঠিক করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৮ সালেও রাজনীতিতে অপরাধীর সংখ্যা কমাতে উদ্যোগী হয়েছিল শীর্ষ আদালত। তখন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেয় যে, প্রত্যেক প্রার্থীকে তাদের ফৌজদারি অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। এমনকি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে থাকা ওই সব ফৌজদারি মামলার কথা সংবাদপত্র ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করতে হবে। কিন্তু এতে বিশেষ কোনও লাভ হচ্ছে না বলে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। আজ সেই মামলাটি ওঠে বিচারপতি আর এফ নরিম্যান এবং এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চে।
শুনানিতে কমিশন জানায়, রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করার মূল দায় রাজনৈতিক দলগুলির। তাই দলগুলির উচিত, অতীতে অপরাধ করেছেন, এমন নেতাদের প্রার্থীই না-করা। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ব্যক্তিদের টিকিট দিলে, তবেই রাজনীতি অপরাধমুক্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: নির্ভয়া: ফের আপিল দণ্ডিতদের আইনজীবীর
কমিশনের এই যুক্তি মানতে রাজি নয় অধিকাংশ দল। যদিও বিচারাধীন বলে এ বিষয়ে সরাসরি মুখ খুলতে চায়নি কোনও দলই। কিন্তু অধিকাংশ দলেরই মূল সুর হল, বিরোধী দলের নেতাদের নানা ছুতোয় মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায় সব শাসক দলের মধ্যেই। বহু ক্ষেত্রেই প্রতিহিংসাবশত প্রতিপক্ষের নেতাদের নামে ভুয়ো মামলা করা হয়ে থাকে। তাই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ বা মামলা থাকলেই যদি তাকে প্রার্থী তালিকার বাইরে রাখতে হয়, তবে যোগ্য প্রার্থী পাওয়াই দুষ্কর হয়ে উঠবে। রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে যে এমন যুক্তি বা আপত্তি আসতে পারে সেটা বুঝতে পেরে এই বিষয়ে মেপে পা ফেলার পক্ষপাতী সুপ্রিম কোর্টও। তাই শীর্ষ আদালত এ দিন কমিশনকে আবেদনকারী আইনজীবীর সঙ্গে বসে, কী ভাবে রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করা সম্ভব— তার রূপরেখা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy