—ফাইল চিত্র।
লকডাউনের জেরে এক বার পরীক্ষা পিছিয়েছে। ফের তা পিছিয়ে যাবে ভেবে হাতগুটিয়ে বসে থাকা উচিত নয়। বরং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবিতে ইতিমধ্যেই মামলা গিয়ে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু নতুন করে ফের এক বার পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া বা পরীক্ষা বাতিল করার প্রশ্ন ওঠে না বলে শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তাদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি চলছে বলেই যে পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে, পড়ুয়ারা যেন এমনটা ভেবে না বসেন। বরং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া চালিয়ে যাওয়া উচিত তাঁদের।
করোনা পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা ইতিমধ্যেই বাতিল করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা নেবে বলে ইউজিসি ঠিক করলেও, তাদের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে। দলের শাখা সংগঠন ‘যুব সেনা’র মাধ্যমে আদালতে আবেদন জমা দিয়েছেন মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার সদস্য আদিত্য ঠাকরেও। এ দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সেগুলির শুনানি করছিলেন বিচারপতি অশোক ভূষণ, আর সুভাষ রেড্ডি এবং এমআর শাহ।
সেখানেই নিজেদের অবস্থান সাফ জানিয়ে দেয় ইউজিসি। বলা হয়, ‘‘পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়া উচিত পড়ুয়াদের। সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি চলছে বলে পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে, এমনটা যেন ভেবে না বসেন তাঁরা।’’
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট ভোট পিছনোর প্রস্তাব ট্রাম্পের, জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়াই কি আসল কারণ?
করোনা পরিস্থিতিতে কী ভাবে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নেওয়া যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে ইউজিসি। তাতে অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার কথা যেমন বলা হয়েছে, তেমনই যাঁরা পরীক্ষা দিতে পারবেন না, তাঁদের জন্য পরে আলাদা করে পরীক্ষার ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।
কিন্তু ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নিয়ে ইউজিসি খামখেয়ালি আচরণ করছে বলে দাবি করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাঁর যুক্তি, অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েরই। তাই এক সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষায় বসতে না পারলে, অন্য কোনও দিন পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তেরও তীব্র সমালোচনা করেন সিঙ্ঘভি। তিনি বলেন, ‘‘গোটা ব্যবস্থাটাই অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। দু’বার করে পরীক্ষা নেওয়া অত্যন্ত ঝঞ্ঝাটের ব্যাপার।’’
আরও পড়ুন: ভুটানেও এলাকা দাবি চিনের, ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে বেজিং, বলল আমেরিকা
পরীক্ষা বাতিল করা হলে মাথায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এ প্রসঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, ওই আইনে রাজ্য সরকার চাইলে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তাতে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে পাল্টা জবাবদিহি করে শীর্ষ আদালত। বলা হয়, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের পরামর্শে মেনে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কি না, তার নথিপত্র পেশ করতে হবে আদালতে।
এর আগে, সেপ্টেম্বরে পরীক্ষায় সায় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। এ ব্যাপারে সোমবারের মধ্যে নিজেদের অবস্থান জানাবে বলে আদালতে জানিয়েছে তারা। তবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে বলেন, ‘‘সোমবারের মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দেব আমরা। কিন্তু পরীক্ষার প্রস্তুতি বন্ধ রাখা উচিত নয়। পড়ুয়াদের প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে।’’
করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের জেরে বিভিন্ন মহলেই সমালোচনার মুখে পড়েছে ইউজিসি। এই সঙ্কটের সময় পরীক্ষার আয়োজন করে পড়ুয়াদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে ইউজিসি-র মতে, পরীক্ষা বাতিল করা হলে, শিক্ষাক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আগামী ১০ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি করবে শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy