প্রতীকী ছবি।
দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে পাইলট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়তে বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে দরপত্র চাওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে বিদেশি সংস্থাও স্বাগত।
পশ্চিমবঙ্গের তিনটি বিমানবন্দরকে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ার উপযুক্ত বলে মনে করা হলেও প্রথম পর্যায়ে এ রাজ্যের নাম নেই। প্রথম পর্যায়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে একমাত্র অসমের লীলাবাড়িতে এমন কেন্দ্র গড়া হবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অরবিন্দ সিংহ জানান, কুয়াশা ও বৃষ্টি কম, এমন জায়গাই এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপযোগী। আগামী বছরের মাঝামাঝি দ্বিতীয় পর্যায়ের দরপত্র চাওয়া হবে। তখন বঙ্গের অন্ডাল, কোচবিহার ও বেহালার নাম বিবেচনা করা হতে পারে। বেহালায় এক সময় পাইলট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু ছিল।
বিমান মন্ত্রকের হিসেব, এই মুহূর্তে ভারতের আকাশে উড়ছেন ন’হাজার পাইলট। রোজই বিমানের সংখ্যা বাড়ছে। প্রায় প্রতিটি উড়ান সংস্থাই নতুন বিমান নিয়ে আসছে। জেট এয়ারওয়েজ আবার দেশের আকাশে ডানা মেলতে চলেছে। ফলে আগামী পাঁচ বছরে আরও অন্তত সাড়ে ন’হাজার পাইলটের প্রয়োজন হবে। বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) প্রতি বছর গড়ে ৭০০-৮০০ জনকে কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (সিপিএল) দিচ্ছে।
“দেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবে নতুন পাইলটদের ৩০% বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে খরচও বেশি হচ্ছে। প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান ফলি এইচ মেজরের নেতৃত্বাধীন কমিটি দেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ার সুপারিশ করেছে,” বলেন অরবিন্দ।
কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাতা সংস্থা বিশেষ ছাড় পাবে। ছোট বিমান থাকতে হবে তাদের। সেখানে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ওড়ার প্রশিক্ষণ শেষে মিলবে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স (পিপিএল)। পরে বড় বিমানে ১৪০ ঘণ্টা ওড়ার প্রশিক্ষণ নিয়ে ডিজিসিএ-র পরীক্ষায় পাশ করলে পাওয়া যাবে সিপিএল। চলতি বছরেই ছ’টি বিমানবন্দরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়ে যাবে বলে অরবিন্দের আশা। লীলাবাড়ি ছাড়াও তালিকায় আছে মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো, মহারাষ্ট্রের জলগাঁও, কর্নাটকের বেলগাম ও কলবুর্গি এবং তামিলনাড়ুর সালেম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy