প্রতীকী ছবি।
পুলিশ বলছে, আলিগড়ে শিশুকন্যা খুনের ঘটনায় এখনও ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। পরবর্তী ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে আগরায়। এ দিকে আজই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে শুক্রবার যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে এক জন ২০১৪-য় নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে জেলে গিয়েছিল। পরে তাকে জামিনে ছাড়িয়ে আনে স্ত্রী। ২০১৭-য় দিল্লির গোকুলপুরীতে এক নাবালিকা অপহরণের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে পকসো মামলা দায়ের হয়েছিল।
সোশ্যাল মিডিয়া তথা দেশ জুড়ে বাড়তে থাকা চাপের মুখে আজ আলিগড়-কাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত জাহিদের স্ত্রী ও ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, জাহিদের স্ত্রীর ওড়না পেঁচিয়েই খুন করা হয়েছিল আলিগড়ের টপ্পল টাউনশিপের আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে। এই মামলায় ধৃতদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনের ধারা জুড়েছে পুলিশ। ধর্ষণের প্রমাণ মিললে আনা হবে পকসো-ও। তবে আলিগড় বার অ্যাসোসিয়েশন অভিযুক্তদের কারও হয়ে মামলা লড়বে না বলে জানিয়েছে আজ। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী অনুপ কৌশিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা ওই বাচ্চা মেয়েটির পরিবারের পাশেই দাঁড়াব। অভিযুক্তদের হয়ে আদালতে সওয়াল করার প্রশ্নই ওঠে না। যদি বাইরে থেকে কেউ আসেন, তাঁকেও লড়তে দেব না।’’ শিশুকন্যার খুনের বিচার চেয়ে গত কাল মোমবাতি মিছিলে নামে আলিগড়। দোষীদের চূড়ান্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-পড়ুয়ারা।
কয়েক দিন ধরে একই রকম ভাবে ফুঁসছে সোশ্যাল মিডিয়াও। গোড়ায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। তার পরে বস্তুত সোশ্যাল মিডিয়ার চাপে পড়েই তৎপর হয় যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী নিজে অবশ্য এই ঘটনায় এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। আজ তা নিয়েও নেটিজ়েনের একটা বড় অংশ মুখ খুলেছেন। শিশু খুনের এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করেও এর পিছনে পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয়কে দায়ী করেছেন বিজেপি নেত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। আজ তাঁকে ঘিরেও সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু গুজবও ছড়িয়েছে এই ক’দিনে। আজ ফের তাতে কান না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন, আলিগড়ের এসএএসপি আকাশ কুলহারি। এ দিকে, বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম নিহত শিশুকন্যার নাম-পরিচয় প্রকাশ করায় আজ তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শিশু অধিকার রক্ষা বিষয়ক জাতীয় কমিশন। তদন্তে যাতে কোনও রকম গাফিলতি না-থাকে, সে জন্য আদিত্যনাথের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনিও সংবাদমাধ্যমের কাছে শিশুটির নাম-পরিচয় গোপন রাখার আর্জি জানিয়েছেন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy