Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Animal Slaughter

হালাল নিষিদ্ধের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

আদালত জানিয়েছে, কে, কী খাবেন, তা একান্তই ব্যক্তিগত পছন্দ। এ ব্যাপারে নাক গলানো যায় না।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৬:১৮
Share: Save:

কে, কী খাবেন, তা একান্তই ব্যক্তিগত পছন্দ। এ ব্যাপারে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। হালাল নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে একটি আবেদনের শুনানিতে এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনকারীর অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি, শীর্ষ আদালত ওই আবেদনটি খারিজও করে দিয়েছে।

পশুদের উপর নির্মম অত্যাচার প্রতিরোধী আইনের ২৮ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে, বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী পশু হত্যার যে আলাদা আলাদা পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলি অপরাধ বলে গণ্য হবে না। অর্থাৎ মুসলিমদের হালাল পদ্ধতিতে মাংস কাটা এবং হিন্দুদের ঝটকা পদ্ধতিতে মাংস কাটার প্রথাকে অপরাধের বাইরেই রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি ওই আইনকেই শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানায় অখণ্ড ভারত মোর্চা নামের একটি দক্ষিণপন্থী সংগঠন। তারা দাবি করে, ঝটকা পদ্ধতিতে এক কোপেই জীবন শেষ হয়ে যায় পশুর। কিন্তু হালাল পদ্ধতিতে যন্ত্রণা পেয়ে মরতে হয়। হালালের নামে এই যন্ত্রণাদায়ক হত্যা চলতে দেওয়া যায় না।

আরও পড়ুন: নতুন করে সংক্রমিত ৬, পাঁচ দিনে শহরের ৯৪ লক্ষের করোনা পরীক্ষা করতে চলেছে চিন!

কিন্তু তাদের এই যুক্তি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউলের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। জানিয়ে দেওয়া হয়, মানুষের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নাক গলাতে পারে না আদালত। বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী বলেন, ‘‘কে নিরামিষ খাবেন আর কে আমিষ খাবেন, তা আদালত ঠিক করে দিতে পারে না। যাঁরা হালাল করা মাংস খেতে চান, খেতে পারেন। যাঁরা ঝটকা মাংস খেতে চান, খেতে পারেন।’’

আবেদনটি খারিজ করার আগে আবেদনকারী ওই সংগঠনের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। বলা হয়, ‘‘আপনাদের আবেদনটি অভিসন্ধিমূলক।’’

প্রাক্তন বিজেপি নেতা বৈকুণ্ঠলাল শর্মা ১৯৯৮ সালে অখণ্ড ভারত মোর্চা সংগঠনটি গঠন করেন। তবে সেটি রেজিস্টার্ড হয় ২০১৪ সালে। তার পর থেকে একাধিক বার ঝামেলায় জড়িয়েছে তারা। লভ জিহাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হওয়ার পাশাপাশি, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে তাদের।

আরও পড়ুন: সনিয়ার ‘হাত’ ছেড়ে পদ্মবনে খুশবু ছড়ালেন তামিল অভিনেত্রী

২০১৮-য় হনুমান জয়ন্তীতে তলোয়ার হাতে বাইক মিছিল বার করেন সংগঠনের সদস্যরা। সেই সময় পূর্ব দিল্লির চারটি মসজিদে রং মাখানো এবং গেরুয়া পতাকা ঝোলানোর অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। পুলিশের চোখের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটে। সেই নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy