বিনয় শর্মা। —ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে গিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হল নির্ভয়া-কাণ্ডে দণ্ডিত বিনয় শর্মাকে। আদালতে বিনয় জানিয়েছিল, জেলের মধ্যে নিদারুণ অত্যাচার সইতে সইতে তার মানসিক স্থিতি নষ্ট হয়ে যায়। প্রাণভিক্ষার আর্জি পেয়েও বিষয়টি বিবেচনা করে দেখেননি রাষ্ট্রপতি। তাই মানসিক অস্থিরতার কথা মাথায় রেখেই তাঁর ফাঁসির সাজা মকুব করা হোক। কিন্তু, শুক্রবার ওই আবেদনের শুনানি চলাকালীন বিনয়ের যুক্তি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, বিনয় একেবারেই সুস্থ। কোনওরকম মানসিক সমস্যা নেই তার। এর পর বিনয়ের সামনে ফাঁসি মকুব করানোর আর উপায় রইল না বলেই মত আইনজীবীদের একাংশের।
এ দিন বিনয়ের আবেদনের শুনানি চলাকালীন, বিচারপতি আর ভানুমতী, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, মেডিক্যাল রিপোর্টে বিনয়ের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। মানসিক ভাবে একেবারেই সুস্থ সে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেও এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। সবকিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ফাঁসির সাজা সংশোধনের আর্জি নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি শীর্ষ আদালতে আর্জি জানায় বিনয় শর্মা। তা খারিজ হয়ে গেলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায় সে। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেটাও খারিজ হয়ে গেলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় বিনয়। লিখিত আবেদন জমা করে জানায়, জেলের মধ্যে অমানুষিক অত্যাচার চালানো হয়েছে তার উপর। তাতে মানসিক স্থিতি নষ্ট হয়ে গিয়েছে তার। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে সে। প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করার আগে এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে দেখেননি রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি তাঁর পরিবারের আর্থিক কষ্টের দিকটিও বিচার করে দেখেননি বলে অভিযোগ করে বিনয়। তাই সবকিছু খতিয়ে দেখে তার সাজা মকুব করা হোক বলে আবেদন জানায় আবার। কিন্তু এ দিন তার সমস্ত আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: আমরা কি সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ করে দেব? বিচারপতিদের তোপের মুখে টেলিকম কর্তারা
আরও পড়ুন: ‘পুলওয়ামায় লাভবান হয়েছে কে? তদন্তে কী বেরল?’ বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুলের
২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসে ২৩ বছরের তরুণী ‘নির্ভয়া’কে গণধর্ষণ এবং খুনের দায়ে বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত, মুকেশ সিংহ এবং অক্ষয় ঠাকুরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। গত ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় তিহাড় জেলে ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু আইনের সাহায্য চাওয়ার নামে গত এক মাস ধরে নানা ভাবে ফাঁসি পিছনোর চেষ্টা করে যাচ্ছে দণ্ডিতেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy