প্রতীকী ছবি।
ব্রিটেন থেকে ২৪৬ জন যাত্রী নিয়ে দিল্লি ফিরছে ভারতীয় বিমান। শুক্রবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির দিল্লিতে অবতরণ করার কথা। করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে ব্রিটেনের নাজেহাল অবস্থা। নতুন করে লকডাউন চলছে। সেখান থেকে যাত্রীদের দিল্লি ফেরায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতেও।
শুক্রবারই ব্রিটেন থেকে যাত্রীবাহী বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। যার ফলেই ২৪৬ জন যাত্রী নিয়ে ব্রিটেন থেকে দেশে ফিরছে ওই বিমানটি।
দেশে যখন করোনা পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে, সে সময় নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে সরব বিরোধীরা। আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল যেমন বলেন, “ব্রিটেনের উড়ানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ব্রিটেনের কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের কাছে আমার অনুরোধ, ওই নিষেধাজ্ঞা যেন ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।”
আরও পড়ুন: একলাফে ১০ শতাংশ কমল সংক্রমণ, সক্রিয় রোগী নামল ২ লক্ষ ২৫ হাজারে
আরও পড়ুন: টিকায় মিলবে বছর দু’য়েকের সুরক্ষা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিতর্কের মাঝে নয়া দাবি মডার্নার
দিল্লিতে ইতিমধ্যেই নতুন করোনা স্ট্রেন-এর ১৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। অন্য দিকে, ভারতে ওই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩। এই আবহ মাথায় রেখে কেজরীবাল বলেছেন, “অত্যন্ত কঠিন অবস্থার মধ্যে দেশের কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। তা হলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ফের কেন মানুষকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে?”
বরিস জনসনের দেশে করোনার নতুন স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে গত ২৩ ডিসেম্বর ব্রিটেন এবং ভারতের মধ্যে যাবতীয় উড়ান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তবে বুধবার ভারত-ব্রিটেন উড়ান চালু করা হয়। এর পর শুক্রবার ব্রিটেন থেকে বিমান চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল।
সরকারি সূত্রের খবর, এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে মোট ৩০টি উড়ান দু’দেশের মধ্যে চলাচল করবে। এর মধ্যে ১৫টি করে বিমান ভারত এবং ১৫টি ব্রিটেনের বিমান সংস্থার উড়ান। আপাতত আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু থাকবে।
উড়ান চালু হলেও অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, ‘‘অবতরণের পর প্রত্যেক যাত্রীকেই নিজখরচে কোভিড টেস্ট করাতে হবে। পাশাপাশি, ব্রিটেন থেকে ভারতের বিমানে ওঠার ৭২ ঘণ্টা আগে সমস্ত যাত্রীকে সে দেশের কোভিড টেস্ট করতে হবে। ওই টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই উড়ানের অনুমতি পাওয়া যাবে। দেশে আসার পর প্রত্যেক যাত্রীকে ওই টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে হবে। সেই সঙ্গে রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও সমস্ত যাত্রীর ১৪ দিনের কোয়রান্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy