ছবি: পিটিআই।
এনআরসির বাইরে থাকা ১৯ লক্ষ ৬ হাজার মানুষের কারও বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালের রায়ের আগে ব্যবস্থা নয় বলে অসম সরকার আগেই জানিয়েছে। তবে তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রতিবেশী রাজ্যগুলি। পাছে এনআরসি-ছুটরা সীমা পেরিয়ে তাদের এলাকায় ঢুকে পড়েন! মেঘালয় সরকার চেকগেটগুলিতে সতর্কতা বাড়িয়েছে।
শুধু পুলিশই নয়, একই আতঙ্কে রাজ্যের সীমানায় ওই গেটগুলিতে পাহারা শুরু করেছে খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়নও। সমস্ত যানবাহন আটকে যাত্রীদের নথি দেখতে চাইছে তারা। মেঘালয় পেরোতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন অনেক। বিশেষ ভাবে, বাংলাভাষীদের নানা ভাবে জেরা করা হচ্ছে। খাসি ছাত্র সংগঠন নংস্টোইনে কারখানায় কাজ করতে আসা অসমের ৩০ জন শ্রমিককে এনআরসিতে নাম থাকার প্রমাণ দেখাতে না পারায় আটক করে। কারখানা কর্তৃপক্ষকে মুচলেকা দিতে হয়, এনআরসি তথ্য দেখাতে না পারলে কাউকে কাজে রাখা হবে না। মেঘালয় পুলিশের তরফে কাউকে অযথা হেনস্থা করা বা গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
একই চিত্র মিজোরামেও। সে রাজ্যে ইনার লাইন পারমিট চালু রয়েছে। কেউ যেন কোনও ভাবে পারমিট ছাড়া ঢুকতে না-পারেন, সে বিষয়ে খুবই সতর্ক মিজোরাম পুলিশ।
এনআরসি-ছুট বাঙালিরা ঢুকে পড়তে পাড়েন, এই সন্দেহ থেকে মুক্ত নয় মণিপুর সরকারও। তারাও জিরিবাম চেকগেটে প্রহরা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে নিত্যযাত্রীদের অভিমত, এনআরসির খসড়া প্রকাশের পরে যে মাত্রায় বাড়াবাড়ি হয়েছিল, এ বার তা তুলনায় অনেকটাই কম। আগের বারের মত নানা অজুহাতে দলে দলে বাঙালি যাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগও নেই। বাঙালিপ্রধান ত্রিপুরায় অবশ্য চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশের পরে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy