প্রতীকী ছবি। ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করে সিন্থেটিক দুধ তৈরি ও তা বাজারজাত করার অপরাধে মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার ঢাকপুরা গ্রামের দুই ভাইকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। ওই দুই ভাইয়ের নাম দেবেন্দ্র গুরজার ও জয়বীর গুরজার।
বছর সাতেক আগে দুধের ব্যবসা শুরু করেন তাঁরা। মোটরবাইকে করে দুধ নিয়ে গিয়ে তাঁরা পৌঁছে দিয়ে আসত নিকটবর্তী ডেয়ারিতে। এই ব্যবসা করে আজ তাঁরা দু’কোটির টাকার মিল্ক প্ল্যান্ট, তিনটি বাংলো, বেশ কয়েকটি এসইউভি সহ বিশাল পরিমান চাষের জমির মালিক।
তাঁদের এই সম্পত্তি বৃদ্ধি রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। কিন্তু কী করে এত সম্পত্তি করলেন তাঁরা? সেই উত্তর সম্প্রতি ফাঁস করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। এসটিএফের সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ রাজেশ ভাদোরিয়া বলেছেন, ‘‘তদন্তের সময় আমরা দেখলাম ওই দুই ভাইয়ের সম্পত্তি অল্প ক’বছরে বিপুল পরিমাণ বেড়েছে। এই ক’বছরে তাঁদের জীবনযাত্রার মান পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে। ছোট ডেয়ারির ব্যবসা শুরু করে কী করে এত তাড়তাড়ি তাঁরা কোটিপতি হল, সত্যিই আশ্চর্যজনক।’’
পুলিশ জানিয়েছে, এত বছর ধরে ওই দুই ভাই কৃত্রিম দুধ তৈরির কারবার চালাচ্ছিল। জলের সঙ্গে গ্লুকোজ, ইউরিয়া, রিফাইন তেল, দুধের গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি করা হত সেই কৃত্রিম দুধ। তার সঙ্গে মেশানো হত আরও বেশ কয়েক রকমের রাসায়নিক দ্রব্য। সেই দুধই বাজারে বিত্রি করা হত আসল দুধ বলে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী বলেছিল খাবার বানাতে, উত্তরে এই শিল্পপতি কী করলেন জানেন?
পুলিশ জানিয়েছে, এই দুধ প্রতি লিটার তৈরি করতে তাঁদের খরচ পড়ত ছয় টাকা। স্বাভাবিকভাবে এই ‘জাল’ দুধে লাভের অঙ্কটা ছিল আকাশ ছোঁয়া। আর শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়। ওই দুই কারবারি তাঁদের ব্যবসা ছড়িয়ে ফেলেছিল রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশেও। তাঁদের দু’জনকেই গ্রেফতার করে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন: মত্ত অবস্থায় পুলিশকে চুম্বন করে গ্রেফতার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy