এখনও থমথমে কাশ্মীর। —ফাইল চিত্র।
বিনা নোটিসে রাতবিরেতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাড়ি থেকে। অথচ মুক্তি পেতে দিতে হচ্ছে লিখিত মুচলেকা। জম্মু-কাশ্মীরে রাজনীতিকদের মুক্তি দিতে কেন্দ্রের এমন ‘দিশেহারা নীতি’ নিয়ে এ বার তীব্র সমালোচনা করলেন মেহবুবা মুফতি কন্যা ইলতিজা। তাঁর প্রশ্ন, সকলকে যেখানে বেআইনি ভাবে আটক করা হয়েছিল, তখন শর্তসাপেক্ষে মুক্তির প্রশ্ন ওঠে কী ভাবে?
গত ৫ অগস্ট মেহবুবা বন্দি হওয়ার পর থেকে মায়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট সামলাচ্ছেন ইলতিজা। বৃহস্পতিবার তিনি লেখেন, ‘মুক্তি দেওয়ার আগে জোরপূর্বক বন্দিদের বন্ডে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে শুনলাম। কিন্তু সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে আটক করার পর, কোন আইনে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের? মেহবুবা মুফতি-সহ অনেকেই বন্ডে সই করার প্রস্তাব খারিজ করেছেন। দিশেহারা নীতির মাধ্যমে সরকার নিজের জালেই জড়িয়ে পড়ছে।’
বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ গোটা উপত্যকা। এখনও গোটা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি সে ভাবে। তার মধ্যেই একে একে রাজনীতিকদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার ইয়াওয়ার মীর, নূর মহম্মদ এবং শোয়েব লোনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে বুধবার রাতে উপত্যকা প্রশাসনের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, বিশেষ বন্ডে সই করিয়ে ওই তিন রাজনীতিককে মুক্তি দেওয়া হবে। তাতে ছাড়া পাওয়ার পরও উপত্যকায় শান্তি এবং সুষ্ঠু আচরণ বজায় রাখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে তাঁদের। এতেই আপত্তি তুলেছেন ইলতিজা।
Reports say detainees released today were forced to sign bonds.Under what law is their release conditional as their detention was illegal itself? Many including Ms Mufti have categorically refused to sign these bonds. The govt with its rudderless approach is tying itself in knots
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) October 10, 2019
আরও পড়ুন: দু’মাস পরে পর্যটকদের জন্যে খুলে দেওয়া হল কাশ্মীরের দরজা, আরও একটু শিথিল বিধিনিষেধ
মেহবুবা মুফতি নেতৃত্বাধীন জম্মু-অ্যান্ড কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাক্তন বিধায়ক ইয়াওয়ার মীর। রফিয়াবাদ থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেসের টিকিটে উত্তর কাশ্মীর থেকে নির্বাচন লড়লেও, শেষমেশ পরাজিত হন শোয়েব লোন। পরে দল থেকে ইস্তফা দেন তিনি। পিপলস্ কনফারেন্সের সাজ্জাদ লোন ঘনিষ্ঠ হিসাবেও পরিচিত তিনি। নূর মহম্মদ ন্যাশনাল কনফারেন্সের সদস্য। শ্রীনগরের বাটমালু এলাকায় দলের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘চোর-মোদী’ মানহানি মামলায় রাহুলের সওয়াল, ‘আমি কোনও দোষ করিনি’
গত ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর থেকে রাজনীতিক, বিচ্ছিন্নতাকামী, সমাজকর্মী, আইনজীবী এবং সাধারণ মানুষ মিলিয়ে প্রায় হাজার জনকে কাশ্মীরে বন্দি করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। বন্দি করা হয় রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতিকেও। জানা গিয়েছে, বন্দিদের মধ্যে প্রায় ২৫০ জনকে জম্মু-কাশ্মীরের বাইরে বিভিন্ন জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। গৃহবন্দি করে রাখা হয় বহু জনকে। জন নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয় ফারুক আবদুল্লাকে। এ ছাড়াও, ফৌজদারি আইনের বিভিন্ন ধারায় গ্রেফতার করা হয় আরও অনেককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy