পাপনাশিনী নদীতে প্রার্থনা রাহুলের। ছবি সৌজন্য: কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট।
প্রচার নয়, বুধবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়েনাডে রাহুল অনেকটা সময় দিলেন পুজো আর প্রার্থনায়। এ দিন সকাল সকালই তিনি হাজির হয়েছিলেন কেরলের বিখ্যাত পাপনাশিনী নদীর কাছের থিরুনেলি মন্দিরে। সেখানেই নিজের পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের আত্মার শান্তিকামনায় পুজো দেন তিনি। এই নদীর স্রোতেই ভাসানো হয়েছিল তাঁর বাবা রাজীব গাঁধীর অস্থি।
১৯৯১ সালে রাজীবের অস্থি একটি কলসে ভরে নিয়ে এসে ভাসানো হয়েছিল থিরুনেলির বিষ্ণু মন্দিরের পাশ দিয়েই যাওয়া বিখ্যাত পাপনাশিনী নদীতে। গত ২৮ বছরে অবশ্য একবারও এখানে আসতে পারেননি তিনি। কেরলের কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘এর আগে রাহুল এখানে আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নিরাপত্তার কারণেই শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।’’
মন্দিরে রাহুল গিয়েছিলেন আর পাঁচ জন দর্শনার্থীর মতোই। মন্দিরের পাশের গেস্ট হাউসে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে মন্দিরের দিকে যান তিনি। তাঁর পরনে ছিল সাদা রঙের ধুতি, যাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় মুন্ডু আর গায়ে ছিল অঙ্গবস্ত্র। পুরোহিতদের পরামর্শ মতো মন্দিরের প্রথা মেনে পুজো দেন তিনি। তার পর পুরোহিতদের সঙ্গে হেঁটে যান মন্দির থেকে ৭০০ মিটার দূরের পাপনাশিনী নদীতে, যেখানে ফেলা হয়েছিল তাঁর বাবার অস্থি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের মধ্যেই সুর বদল রামদেবের, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফের ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’কে সমর্থন যোগগুরুর
বিষ্ণু মন্দিরে যাওয়ার পথে। ছবি সৌজন্য: কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট
কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, ‘‘নিজের ঠাকুমা, বাবা, পূর্বপুরুষ এবং পুলওয়ামা নাশকতায় নিহত জওয়ানদের আত্মার শান্তি কামনায় পুজো দেন তিনি।’’
দক্ষিণ ভারতে এই পাপনাশিনী নদীতে পুজো দেওয়াকে গয়ায় পিণ্ডদানের মতোই পবিত্র বলে মানেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। এই মন্দির পড়েছে রাহুলের নির্বাচন কেন্দ্র ওয়েনাডেই। উত্তরপ্রদেশের অমেঠীর পাশাপাশি দ্বিতীয় নির্বাচনী কেন্দ্র হিসেবে কেরলের ওয়েনাডকে রাহুল বেছে নিতেই তাঁকে কটাক্ষে বিঁধেছিল বিজেপি। এই নির্বাচনী কেন্দ্রে ৪০ শতাংশের বেশি ভোটারই মুসলিম। ওয়েনাড় নিয়ে রাহুলের সমালোচনার সময় এই বিষয়টিকেই নিশানা করেছিল তারা। তা হলে কি সেই সমালোচনার জবাব দিতেই পাপনাশিনী নদীর শরণাপন্ন হলেন রাহুল? উঠছে সেই প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy