পিনারাই বিজয়ন— ফাইল চিত্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আপত্তিকর পোস্ট’ মোকাবিলায় নয়া আইন বলবতের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পিছু হটলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘আপাতত আমরা এই আইন প্রয়োগ করছি না।’’
যদিও রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সই করা ওই অধ্যাদেশ কেরল সরকার বাতিল করবে কি না, তা সরাসরি জানাননি বিজয়ন। তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভায় আলোচনার পরেই সরকার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে।’’
ফেসবুক-টুইটারে ‘আপত্তিকর পোস্ট’ করার অপরাধে ৫ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার সাজার ব্যবস্থা করে রবিবার নয়া অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করে কেরল সরকার। এই উদ্দেশ্যে সংশোধন করা হয় ‘কেরল পুলিশ আইন’। তাতে ১১৮(এ) নামে নয়া একটি অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়। রাজ্যপাল আরিফও রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে সম্মতি দেন।
আরও পড়ুন: ‘আপত্তিকর’ পোস্ট নিয়ে আইন, তোপের মুখে বিজয়ন
কিন্তু কংগ্রেস-সহ কেরলের বিরোধী দলগুলি বিজয়ন সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব হয়। বাক্স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে সরব বিভিন্ন মানবাধিকার এবং সামাজিক সংগঠনও। রবিবার বিজয়ন নয়া অর্ডিন্যান্স সমর্থন করে বলেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষমূলক এবং ভুয়ো তথ্যের প্রচার রুখতেই তাঁর সরকারের এই উদ্যোগ। কিন্তু পরবর্তী বিধানসভা ভোট নজরে রেখেই তিনি অবস্থান বদলালেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র করোনায় প্রয়াত দক্ষিণ আফ্রিকায়
মাস পাঁচেক পরে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই কেরলে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে বিজয়নের নয়া অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ জোটের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে আপাতত বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই বিজয়নের এমন আশ্বাস বলে অভিযোগ উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy