প্রতীকী ছবি।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর কর্নাটকের এক আইপিএস অফিসার পি হরিশেখরন অভিযোগ দায়ের করেন যে, তাঁর নামে কেউ ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তাঁর পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন। তার ঠিক কয়েক দিন পরে সিআইডি-র ডেপুটি পুলিশ সুপার একই অভিযোগ দায়ের করেন। কর্নাটকেরই আরও এক পুলিশ আধিকারিক জানান, তাঁরই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে কেউ বা কারা। রাজ্যের তাবড় তাবড় প্রশাসনিক আধিকারিকদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্তে নামে সিআইডি।
তদন্তে জানা যায়, শুধু কর্নাটকেই নয়, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা-সহ দেশের একাধিক রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে! সেই সূত্র ধরে সম্প্রতি রাজস্থানে এক বড় চক্রের হদিশ পেলেন কর্নাটকের সিআইডি আধিকারিকরা। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বলবিন্দর সিংহ, আনসার খান, সাইনি এবং সাদ্দাম নামে চার জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ ঠেকাতে কী ব্যবস্থা, ৪ রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে বলবিন্দর এক জন সিমকার্ড ডিস্ট্রিবিউটর। আনসার সিমকার্ড বিক্রেতা। ভুয়ো পরিচয়পত্র কাজে লাগিয়ে সিম বিক্রি করত তারা। সাইনি ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করত। আর সাদ্দাম টাকা সংগ্রহ করত। শাকিল আহমেদ নামে আরও এক জনের খোঁজ চালাচ্ছে সিআইডি। পুলিশ জানিয়েছে, এই শাকিলই সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করত।
কর্নাটক ইউনিটের সিআইডি(সাইবার অপরাধ) পুলিশ সুপার এমডি শরৎ জানিয়েছেন, পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বানিয়ে এই চক্রটি প্রতারণা করত। যাঁদের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি হত, তাঁদেরই পরিচিতদের ফাঁদে ফেলে টাকা সংগ্রহ করত এই চক্রটি। এই চক্রের শিকড় কতটা গভীরে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ধৃতদের জেরা করে আরও কোনও তথ্য পাওয়া যায় কিনা তারও চেষ্টা করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy