কপিল সিব্বল।
দ্বিতীয় মোদী সরকারের একশো দিনে শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা এবং স্বজনপোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে নানা ভাবে বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করছে মোদী সরকার। পাশাপাশি যথেষ্ট প্রমাণ থাকলেও কেন্দ্রের নির্দেশেই দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি।
আজ রাজধানীতে দলের সদর দফতরে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগকে ব্যবহার করছে বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। অথচ মুকুল রায়কে কেন সারদা কাণ্ড থেকে বাঁচানো হচ্ছে? ওনারও তো নাম রয়েছে ওই দুর্নীতিতে। বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ইয়েদুরাপ্পাকে তো মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়া হল! এঁদের বিরুদ্ধে তো সিবিআই কোনও ব্যবস্থা নেয় না!’’
পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র নাম জড়িয়েছে রোজভ্যালি কাণ্ডে। মুকুল রায়ের নাম জড়িয়েছে সারদা এবং নারদ কাণ্ডে। আজ কপিল বলেন, ‘‘বিজেপি-র নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে
স্পষ্ট অভিযোগ থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। অথচ যাঁদের সম্পর্কে কোনও দুর্নীতির তথ্য নেই, সেখানেও জোর করে প্রমাণ সাজিয়ে বিরোধী নেতাদের সিবিআই ডাকছে অথবা তাঁদের জেলে ঢোকানো হচ্ছে! কেন্দ্রীয় সরকার জবাব দিক, কর্নাটকের রেড্ডি ভাইদের ব্যাপারে কী করেছে তারা? ব্যপম দুর্নীতির তদন্তের কী হল?’’
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসের অভিযোগ, যখনই বিপক্ষের কোনও নেতা সরকারের সমালোচনা করছেন, তখনই তাঁর মুখ বন্ধ করার জন্য তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কংগ্রেসের মতে, এটাই একশো দিনে সরকারের সাফল্য! কপিলের কটাক্ষ, ‘‘মানুষের বিশ্বাস হারাচ্ছে এই সরকার। তবে ইডি, সিবিআই এবং আয়কর বিভাগের বিশ্বাস পাচ্ছে!’’ কাশ্মীর পরিস্থিতি, বেকারি, কর্মী ছাঁটাই, গাড়িশিল্পের পরিস্থিতি, জিডিপি-র নিম্নগতি, ছোট ব্যবসায়ীদের দুর্দশা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আজ সরব হয়েছেন সিব্বল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy