মিছিল আটকে পুলিশ। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
ছাত্র আন্দোলনের জেরে ফের অগ্নিগর্ভ দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর (জেএনইউ)। হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার সকালে সংসদভবনের উদ্দেশে রওনা দেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে বেরোতেই, বের সরাই রোডের কাছে মিছিল আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মারধরেরও অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েক জনকে আটকও করা হয়। তার জেরে উত্তেজনা চরমে উঠেছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এবং আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রায় ১২০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। অন্য দিকে, আজ থেকেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। অশান্তি এড়াতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সেখানেও।
হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত তিন সপ্তাহ ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন জেএনইউয়ের পড়ুয়ারা। তার জেরে গত সপ্তাহেই খানিকটা পিছু হটেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফি বৃদ্ধি ৩০ গুণ থেকে কমিয়ে ১০ গুণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আচমকা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নুসরত জাহান, একসঙ্গে অনেক ঘুমের ওষুধ খেয়েই বিপত্তি?
কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হননি পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আগের হারেই ফি নিতে হবে, যাতে সকলের পক্ষেই তা বহন করা সম্ভব হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাতে আমল দেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখতে এ দিনই তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রক।
তবে তাতেও ক্ষোভ মেটেনি পড়ুয়াদের। তাঁদের অভিযোগ, পুরোটাই লোক দেখানো। নিম্নবিত্তদের উচ্চমানের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতেই পরিকল্পিত ভাবে ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই যত ক্ষণ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পুরোপুরি প্রত্যাহার না করা হয়, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। সেই মতো এ দিন সকালে সংসদভবনের উদ্দেশে রওনা দেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের কল্যাণ তহবিলের টাকা চিকিৎসার জন্য নয়, এ বার বললেন ধনখড়
তাঁদের আটকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পুলিশ মোতায়েনে তীব্র বিরোধিতা করেছে অধ্যাপকদের সংগঠন (জেএনইউটিএ)। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘ছাত্রছাত্রীরা যাতে সংসদভবন পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে তার জন্যই এত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ব্যারিকেড বসানো হয়েছে যেখানে সেখানে। শান্তিপূর্ণ মিছিল করে নিজেদের বার্তা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বাইরে পৌঁছে দেওয়া পড়ুয়াদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। গায়ের জোরে তা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy