ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে সঙ্ঘাত এনডিএ-তে। গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ
শিবসেনার সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ভোটে লড়েছিল বিজেপি। কিন্তু ৫০:৫০ সঙ্ঘাতে জোটের হাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা থাকা সত্ত্বেও মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে পারেনি পদ্ম শিবির। আরব সাগরের সেই ঢেউ কি আছড়ে পড়ল ঝাড়খণ্ডেও? রাজ্যে একাই লড়ার কথা ঘোষণা করে দিল রামবিলাস পাসোয়ানের দল লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)। টানাপড়েন চলছে অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এজেএসইউ)-এর সঙ্গেও। ফলে ঝাড়খণ্ডে কার্যত ভাঙনের মুখে এনডিএ।
৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভার ভোটগ্রহণ পাঁচ দফায়। শুরু হচ্ছে ৩০ নভেম্বর থেকে। এই নির্বাচনে আসন সমঝোতা ঘিরে কার্যত ভাঙন এনডিএ-তে। এলজেপির সঙ্গে সঙ্ঘাত এতটাই তীব্র যে একা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল কেন্দ্রে এনডিএ সরকারের মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের দল। বর্তমানে দলের দায়িত্বে রামবিলাসের ছেলে চিরাগ। তিনি স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় এ বার একাই লড়বে তাঁদের দল। ২০১৪ সালে এলজিপি-কে একটি আসন ছেড়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেটিতেও হেরেছিলেন দলীয় প্রার্থী।
দলীয় সূত্রে খবর, এ বার সেখানে বিজেপির কাছে ছ’টি আসনের জন্য দরবার করেছিলেন চিরাগ। কিন্তু বিজেপি একটিও আসন দিতে রাজি হয়নি। তাই একক ভাবে ৫০টি আসনে লড়ার কথা ঘোষণা করে টুইট করেছেন চিরাগ। আজ প্রথম দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হবে বলেও জানিয়েছেন চিরাগ।
শরিকি সংঘাত চলছে এজেএসইউ-এর সঙ্গেও। বিজেপি প্রথম দফায় ৫২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এজেএসইউ ঘোষণা করেছে ১২টি আসনের প্রার্থী। কিন্তু তাতে দেখা যাচ্ছে, চক্রধরপুর কেন্দ্রে দুই শরিকদলই প্রার্থী দিয়েছে। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে দলের রাজ্য সভাপতি লক্ষ্মণ গুলুয়াকে। এ ছাড়া সিমারিয়া, সিন্দ্রি এবং মাণ্ডু কেন্দ্রেও একই পরিস্থিতি।
২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে আসন রফা করে ভোটে লড়েছিল এজেএসইউ। কিন্তু এ বার তারা অন্তত ১৯টি আসন লড়তে চায় বলে বিজেপিকে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি তাদের ন’টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। দলনেতা সুদেশ মাহাতোর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তাঁরা অবস্থানে অনড়। অন্য দিকে রাজ্য বিজেপি-ও ন’টির বেশি আসন দিতে রাজি নয়। ফলে টানাপড়েন চরমে উঠেছে।
আরও পড়ুন: টানটান নাটক মহারাষ্ট্রে, পওয়ারের সঙ্গে কথা সনিয়ার, মুম্বই যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা
তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। দু’দলের সঙ্গেই আলোচনার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত আসন সমঝোতা হবে বলে আশাবাদী পদ্ম শিবির।
আরও পডু়ন: অর্থনীতির ‘অসুখ‘ কমার কোনও লক্ষণ নেই, শিল্পোৎপাদন আট বছরের তলানিতে
বিরোধী শিবিরে অবশ্য সংঘবদ্ধ চেহারাই ফুটে উঠেছে। আসন সমঝোতা নিয়ে তেমন দর কষাকষি হয়েছে, এমন খবর মেলেনি। শিবু সরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ৪৩টি, কংগ্রেস ৩১টি এবং বাকি আসনগুলিতে প্রার্থী দেবে লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় লোক দল। ইউপিএ জোটের প্রচারে নেতৃত্বে থাকছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সরেন।
২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৭২টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছিল ৩৭টিতে। শরিক এজেএসইউ-এর দখলে ছিল ৫টি। একটি আসনে প্রার্থী দিলেও শিকে ছেঁড়েনি এলজেপি প্রার্থীর। অন্য দিকে জেএমএম দখলে ছিল ১৯টি আসন। ৬২ আসনে প্রার্থী দিয়ে মাত্র ৬টিতে জয় পেয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy