ফের হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল চিদম্বরমের। —ফাইল চিত্র।
আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল পি চিদম্বরমের। আগামী সোমবার পর্যন্ত তাঁকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হেফজতেই থাকতে হবে। শুক্রবার জানিয়ে দিল দিল্লির বিশেষ আদালত।
এর আগে, গত সোমবার চিদম্বরমের হেফাজতের মেয়াদ চার দিন বাড়িয়েছিল আদালত। শুক্রবারই তার হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়। এ দিন সকালে তাই আরও পাঁচদিনের হেফাজতের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তবে পাঁচ দিনের পরিবর্তে তিন দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন বিশেষ বিচারক অজয়কুমার কুহার।
আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় বিদেশি বিনিয়োগে অসঙ্গতির অভিযোগে গত ২১ অগস্ট গ্রেফতার হন চিদম্বরম। সেই থেকে গত আট দিন ধরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু বেশ কিছু নথিপত্র সম্পর্কে আরও কিছু প্রশ্ন বাকি রয়েছে বলে এ দিন আদালতে জানান অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএমন নটরাজ।
আরও পড়ুন: মূলস্রোতে ফিরতে চাই, সর্বনিম্ন সাজা দিন, বিচারকের কাছে আর্জি খাগড়াগড়ের অভিযুক্তদের
তবে হেফাজতের মেয়াদ পাঁচ দিন বাড়াতে রাজি হননি বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত নথিপত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন আপনারা। তা হলে শুরুতে পাঁচ দিনের হেফাজত চেয়েছিলেন কেন? দ্বিতীয় বারও পাঁচ দিনেরই হেফাজত চেয়েছিলেন। কেন বলুন তো? মাসের পর মাস তদন্ত চলবে নাকি?’’ প্রত্যুত্তরে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, ‘‘চালাকি করছেন চিদম্বরম। তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। তাই আরও সময় চাই।’’ কিন্তু তাদের দাবি উড়িয়ে দেন বিচারক অজয়কুমার কুহার। তিন দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনা তরুণী রাজস্থানে! প্রমাণ দিন, বলল সুপ্রিম কোর্ট
আদালতে সিদ্ধান্তে যদিও অসন্তোষ প্রকাশ করেন চিদম্বরম। তিনি জানান, ৫৫ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছে তাঁকে। ৪০০-র বেশি প্রশ্ন করা হয়েছে। এর পরেও হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো আদৌ যুক্তিযুক্ত কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন চিদম্বরম। আদালতে দাঁড়িয়ে এ ভাবে নিজের হয়ে সওয়াল করতে পারেন না বলে সেইসময় তাঁকে বাধা দিতে যান অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএমন নটরাজ। কিন্তু চিদম্বরম সাফ জানিয়ে দেন, অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলের কথা মানতে বাধ্য নন তিনি। তিনি কথা বলবেন কি না, সেটা আদালতই ঠিক করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy