টু প্লাস টু স্তরের বৈঠকে ভারত এবং আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। ছবি পিটিআই।
আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। তার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জমানার শেষ বেলায় ভারত এবং আমেরিকা আজ টু প্লাস টু স্তরের বৈঠকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক চুক্তি (বেকা বা বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট) সই করল। এই চুক্তির ফলে উপগ্রহ সূত্রে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ভারতকে সরবরাহ করবে আমেরিকা। পাশাপাশি আজ সমুদ্রপথে দু’দেশের সমন্বয় ও তথ্যের আদানপ্রদান বাড়ানো নিয়েও কথা হয়েছে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে।
কূটনৈতিক শিবিরের একাংশের প্রশ্ন, আমেরিকায় যখন নির্বাচন আসন্ন, তখন বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক কতটা অর্থপূর্ণ? ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি পুর্ননির্বাচিত না হন তাহলে সব চুক্তি খারিজ হয়ে যেতে পারে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে অবশ্য জানানো হচ্ছে, বিষয়টা এমন নয়। আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট পাল্টালেও যে বিষয়টি নিয়ে ভারত এবং আমেরিকার এ দিনের বৈঠক এবং আদানপ্রদান, তা পরবর্তী সরকারের কাছেও সমান গুরুত্বপূর্ণ থাকবে। পাশাপাশি চিনের প্রশ্নে ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে জোট বহাল রাখার প্রয়োজনীয়তাও কমবে না।
এ দিনের আলোচনার একটি বড় দিক জুড়ে ছিল প্রতিরক্ষা-বাণিজ্য। আমেরিকা থেকে উচ্চ প্রযুক্তির ও উন্নততর অস্ত্র ব্যবস্থা কী ভাবে ভারত পেতে পারে তার প্রাথমিক নকশা নিয়ে কথা হয়। ভারতকে যে বিপুল অস্ত্র রফতানি করে থাকে আমেরিকা তা যে প্রেসি়ডেন্টই আসুক, অব্যাহত থাকবে। কারণ এর সঙ্গে সে দেশের বড় বড় অস্ত্র উৎপাদন সংস্থা এবং আমেরিকার জাতীয় স্বার্থ জড়িত।
নয়াদিল্লির দাবি, আজ সই হওয়া বেকা-র মাধ্যমে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আরও নির্ভুল ভাবে কাজ করতে পারবে। সূত্রের মতে, এই চুক্তির ফলে আমেরিকার সেন্সর এবং উপগ্রহের মাধ্যমে পাওয়া গোপন তথ্য সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাবে ভারত। এর জেরে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে চিনের গতিবিধির উপরে নজরদারি চালাতে পারবে নয়াদিল্লি। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গেও সীমান্ত অঞ্চলে প্রযুক্তির কারণে বাড়তি সুবিধে পাওয়া সম্ভব হবে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy