নরেন্দ্র মোদী ও ইমরান খান। —ফাইল চিত্র
সন্ত্রাস ইস্যুতে বরাবরই একে অন্যের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত দুই দেশ। পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা, বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযান, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ এবং সর্বশেষ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে সেই তিক্ততা চরমে উঠেছে। সম্পর্কের এমন উত্তপ্ত আবহেই ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে ভারত। এ বছরের শেষের দিকে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলন উপলক্ষেই আমন্ত্রণ যাবে ইসলামাবাদে, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। তবে পাকিস্তানের তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এ বছর এসসিও সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। নয়াদিল্লিতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। সাংবাদিক সম্মেলনে রবীশ কুমার বলেন, ‘‘এই বছর সরকারের প্রধানদের সম্মেলনের আয়োজক ভারত। প্রচলিত রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী (এসসিও-র)মোট আট সদস্য দেশ, চার পর্যবেক্ষক দেশ এবং সমস্ত আলোচনার সঙ্গী সব দেশকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে।’’
আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনীতি বিষয়ক আট সদস্যের সংগঠন এসসিও-র নেতৃত্বে রয়েছে চিন। সদস্য দেশ হিসেবে ২০১৭ সালে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। সংগঠনে রয়েছে চার পর্যবেক্ষক দেশ— আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান ও মঙ্গোলিয়া। এ ছাড়া আলোচনার অংশীদার ৬টি দেশ হল আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, কম্বোডিয়া, নেপাল, তুরস্ক ও শ্রীলঙ্কা। সম্মেলনের প্রথা মেনে এই সব দেশের প্রতিনিধিদেরই আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন রবীশ কুমার।
কিন্তু প্রশ্ন হল, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কি আসবেন? পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা থেকে শুরু করে একের পর এক ঘটনায় ভারত-পাক সম্পর্ক যে তিক্ততায় পৌঁছেছে, তাতে ইমরানের ভারত সফরের সম্ভাবনা খুব কম বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সব সময় ভারত-বিরোধিতা করেন ইমরান। ভারতও সুযোগ পেলেই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে মদতের প্রশ্নে আক্রমণ করে। তা ছাড়া পাক রাজনীতিতে ভারত-বিরোধিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সে ক্ষেত্রে ভারতে এলে তা নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে পারেন ইমরান। সেই ঝুঁকি উপেক্ষা করা ইমরানের পক্ষে কতটা সম্ভবপর, তা নিয়ে সন্দিহান কূটনৈতিক মহল।
ভারত-পাকিস্তানের বাইরে অবশ্য এই এসসিও সম্মেলনে মোদী-ইমরানের মুখোমুখি হওয়ার নজির রয়েছে। গত বছরের জুনে কিরঘিজস্তানে এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন দুই প্রধানমন্ত্রীই। যদিও সেখানেও সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যে সব দেশ সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, সাহায্য ও সহযোগিতা করে, তাদের দায়ী করা উচিত। ওই সম্মেলনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছিলেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy