কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ রাষ্ট্রপুঞ্জের। —ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীরে সেনার জুলুম নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখা। দিল্লির তরফে আগেই তা খারিজ করা হয়েছিল। এ বার কূটনৈতিক স্তরে সরাসরি প্রতিবাদ জানাল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখার হাই কমিশনে বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার।
রবীশ কুমার বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আগের রিপোর্টটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, প্রতারণাপূর্ণ ছিল। নতুন সংস্করণেও সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রয়েছে। রিপোর্টে যা বলা হয়েছে, তা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরোধী। সীমান্ত সন্ত্রাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কোনও উল্লেখই নেই তাতে।’’
রবীশ কুমার আরও বলেন, ‘‘বছরের পর বছর সীমান্তে সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে পাকিস্তান। তাতে কত প্রাণ ঝরেছে তার কোনও হিসাবই নেই ওই রিপোর্টে। বরং পরিকল্পনামাফিক বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সঙ্গে সন্ত্রাসে মদত জোগানো একটি দেশকে এক আসনে বসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মানবাধিকার শাখার হাই কমিশনে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা।’’
আরও পড়ুন: যাওয়ার হলে চলে যাও, স্পষ্ট বার্তা ববির, লিখিত নির্দেশ দিন, পাল্টা সব্যসাচী
গত বছর জুন মাসে কাশ্মীরে সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রথম রিপোর্টটি প্রকাশ করে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখা। তার সাম্প্রতিক সংস্করণে ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দেশেরই তীব্র সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, ‘‘দুই দেশই কাশ্মীরের উপর নিজেদের কর্তৃত্ব দাবি করে। গত কয়েক দশক ধরে সেখানে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি। ভারতের হাত থেকে স্বাধীনতার দাবি করে আসছে তারা। আবার দাবি উঠছে পাকিস্তানের সঙ্গে মিশে যাওয়ারও।’’
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘‘এই রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক। কিন্তু এ ব্যাপারে দুই দেশের কেউই কড়া পদক্ষেপ করেনি। ভারতের দখলে থাকা কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর পেশি প্রদর্শনে অসংখ্য নিরীহ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। জখমও হয়েছেন বহু। কিন্তু এই জুলুমের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ভারত সরকার।’’
আরও পড়ুন: বাঁচার মরিয়া চেষ্টা, কর্নাটকে বিদ্রোহীদের ফেরাতে কুমারস্বামী ছাড়া সব মন্ত্রীর ইস্তফা
২০১৬-র জুলাই থেকে কাশ্মীরে নিহত সাধারণ যতগুলি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, ছররা বন্দুকের আঘাতে যতজন আহত হয়েছেন, তা নিয়ে তদন্ত কমিটি গড়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয় ওই রিপোর্টে। কিন্তু শুরু থেকেই ওই রিপোর্টকে খারিজ করে এসেছে ভারত সরকার। রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্টে সন্ত্রাসী কাজকর্মকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগও করা হয়।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy