Advertisement
E-Paper

১০ সেনা বন্দি ছিলেন! সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের

সরকারের একটি অংশের যুক্তি, ওই সেনাদের ছাড়ানোর প্রশ্নে দফায় দফায় আলোচনা চলছিল। জাতীয় স্বার্থেই আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ খোলা হয়নি।

কড়া নজর। ছবি: পিটিআই।

কড়া নজর। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২০ ০৩:৩৫
Share
Save

গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের তিন দিন পরে, গত রাতে জানা গেল যে ভারতের ১০ জন সেনাকে সোমবার রাত থেকে আটকে রেখেছিল চিন সেনা। গত কাল বিকেলে তাঁরা মুক্তি পান। সেনা সূত্র থেকে ঘরোয়া ভাবে মুক্তির বিষয়টি জানাজানি হলেও প্রকাশ্যে এখনও পর্যন্ত এ খবর স্বীকার করা হয়নি, আবার অস্বীকারও করা হয়নি। চিনা বিদেশ মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, তাদের হাতে ‘এখন’ কোনও ভারতীয় সেনা বন্দি নেই।

বিরোধী এবং প্রাক্তন সেনাকর্তাদের একাংশের প্রশ্ন, কেন তিন দিনের মাথায় দেশবাসী জানতে পারলেন যে ১০ জন চিনের হাতে বন্দি ছিলেন? কেউ নিখোঁজ নেই বলে কেন গত কাল বিকেলেও দাবি করেছিল কেন্দ্র? বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন দেশের মানুষকে ধোঁয়াশায় রেখে দিয়েছিল সরকার? রাহুল গাঁধী আজ যেমন বলেন, ‘‘পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই চিন আক্রমণ শানায়। কিন্তু ভারত সরকার সমস্যাকে অস্বীকার করে উল্টে ঘুমিয়ে পড়ার নীতি নেয়।’’ সরকারের একটি অংশের যুক্তি, ওই সেনাদের ছাড়ানোর প্রশ্নে দফায় দফায় আলোচনা চলছিল। জাতীয় স্বার্থেই আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ খোলা হয়নি।

সোমবার রাতে সংঘর্ষের পরে ১০ ভারতীয় সেনাকে আটক করে চিন সেনা। যাঁদের মধ্যে ছিলেন মেজর ও ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার চার অফিসার। মূলত গতকাল মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠকের পর তাঁদের ছাড়তে রাজি হয় চিন। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সেনারা ফেরার পর তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। অনেকেরই দেহে চোট-আঘাত রয়েছে। তবে প্রত্যেকেরই অবস্থা স্থিতিশীল। এর পর প্রোটোকল মেনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়, পরিভাষায় যাকে বলা হয় ডি-ব্রিফিং। চিনা সেনা কেমন ব্যবহার করেছে, তাঁদের কী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, সে সম্বন্ধে বিস্তারিত প্রশ্ন করেন সামরিক গোয়েন্দারা। সূত্রের মতে, ওই সেনাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করা হবে। সাধারণত বিদেশি সেনার হাতে ধরা পড়া সেনাদের অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রাথমিক ভাবে মোতায়েন করা হয়। সব স্বাভাবিক থাকলে নির্দিষ্ট সময় পরে পুরনো কাজের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হয়। যেমন বিমানচালক অভিনন্দন বর্তমানের ক্ষেত্রে হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ডোকলামে এসে ছবি তুলল চিনা ফৌজ

সূত্রের মতে, সংঘর্ষের পরেই জানা যায়, বেশ কয়েক জন জওয়ান নিখোঁজ। তাঁদের ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে একাধিক বার বৈঠকে বসেন দু’দেশের সেনাকর্তারা। প্রথমে মঙ্গলবার, তার পরে বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক হয় পেট্রোল পয়েন্ট ১৪- র কাছে। ভারতের তরফে বৈঠকে ছিলেন মেজর জেনারেল অভিজিৎ বাপত। আটক সেনাদের ছবি চিনাদের হাতে তুলে দিয়ে তাঁদের মুক্তি দিতে বলে ভারত। বৃহস্পতিবার বৈঠকের পরে ভারতীয় সেনাদের ফিরিয়ে দিতে রাজি হয় চিন। তার পরেই নয়াদিল্লির তরফে দাবি করা হয়, দেশের কোনও সেনা নিখোঁজ নন।

India-China Galwan Valley Ladakh India China

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}