Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Terrorism

ছ’মাসে কাশ্মীরে নিহত ১২১ জঙ্গির ২১ জন পাক নাগরিক

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিরাপত্তাবাহিনীকে নিশানা করা হয়েছে। কখনও ছোড়া হয়েছে গ্রেনেড, কখনও পেট্রোল বোমা, কখনও আবার  ঘটানো হয়েছে আইইডি বিস্ফোরণ। অস্ত্রশস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া এবং অপহরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।

বছরের প্রথমার্ধেই কাশ্মীরে নিহত শতাধিক জঙ্গি। —ফাইল চিত্র।

বছরের প্রথমার্ধেই কাশ্মীরে নিহত শতাধিক জঙ্গি। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯ ১৫:২০
Share: Save:

জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তার মধ্যেও অশান্তি অব্যাহত উপত্যাকায়। মূলস্রোতে কিছু মানুষ ফিরলেও নতুন করে জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে সেখানে। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নথি থেকে সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এল। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই নথি সামনে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে সেনা অভিযানে উপত্যকায় যত জঙ্গি মারা গিয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই স্থানীয় বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গিও।

সম্প্রতি কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দেয় আলকায়দা প্রধান আয়মান আল জ়াওয়াহিরি। তার পরই এই রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, গত ছ’মাসে জম্মু-কাশ্মীরে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ১২১ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ২১ জন পাকিস্তানি নাগরিক। বাকি ১০০ জন উপত্যকার বাসিন্দা। এই জঙ্গি অভিযানগুলির বেশিরভাগই দক্ষিণ কাশ্মীরে ঘটেছে । তাতে পুলওয়ামায় ৩৬, শোপিয়ানে ৩৪ এবং অনন্তনাগে ১৬ জনের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কাশ্মীরি যুবকদের মূলস্রোতে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে বহু বার। তা সত্ত্বেও গত ছ’মাসে ৭৬ জন কাশ্মীরি যুবক হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে, যার মধ্যে ৩৯ জন যোগ দিয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনে। ২১ জন যোগ দিয়েছে জইশ -ই-মহম্মদ সংগঠনে।জঙ্গি দলে যোগদানের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কাশ্মীরই সবচেয়ে এগিয়ে। গত জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত পুলওয়ামা থেকে ২০ জন, শোপিয়ান থেকে ১৫ জন এবং অনন্তনাগ এবং কুলগাম থেকে ২৬ জন স্থানীয় যুবক বিভিন্ন জঙ্গি শিবিরে যোগ দিয়েছে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আরও পড়ুন: নরেন্দ্রপুরের বাগানবাড়িতে দম্পত্তি খুন, দেহ ট্রাভেল ব্যাগে পুরে দরজায় তালা দিল আততায়ীরা​

ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত উপত্যকায় ১০০টি নাশকতামূলক হামলা চালিয়েছে ওই নব্য জঙ্গিরা, যার মধ্যে পুলওয়ামায় ৩২, শোপিয়ানে ২৩, অনন্তনাগে ১৫ এবং শ্রীনগরের ১০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিরাপত্তাবাহিনীকে নিশানা করা হয়েছে। কখনও ছোড়া হয়েছে গ্রেনেড, কখনও পেট্রোল বোমা, কখনও আবার ঘটানো হয়েছে আইইডি বিস্ফোরণ। অস্ত্রশস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া এবং অপহরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।

আরও পড়ুন: সারদার টাকা ফেরত দিতে চান শতাব্দী রায়, চিঠি দিয়ে জানালেন ইডিকে​

অন্য দিকে, গতবছর শান্তি কিছুটা ফিরলেও, গত ছ’মাসে জম্মু-কাশ্মীরে বহু বার সাধারণ মানুষের রোষে পড়েছে সেনাবাহিনী। জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত জওয়ানদের লক্ষ্য করে ২২৮টি পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে সেখানে, আন্দোলন হয়েছে ৩৪৬টি এবং ১০ বার বন‌্ধ ডাকা হয়েছে। তার মধ্যে ১০১টি পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে শুধুমাত্র মে মাসেই, যখন লোকসভা নির্বাচন চলছিল। ওই একই সময়ে, জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৭১ জন জওয়ান প্রাণ হারান। আহত হন ১১৫ জন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE