নীলকণ্ঠ ভানু প্রকাশ। ছবি সৌজন্য টুইটার।
বিশ্বের ‘দ্রুততম মানব ক্যালকুলেটর’-এর তকমা পেলেন হায়দরাবাদের যুবক নীলকণ্ঠ ভানু প্রকাশ। সম্প্রতি লন্ডনে মেন্টাল ক্যালকুলেশন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা মাইন্ড স্পোর্টস অলিম্পিয়াড (এমএসও) নামেও পরিচিত। এই প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে সোনা জেতেন নীলকণ্ঠ।
ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, লেবানন, গ্রিস-সহ বিশ্বের ১৩টি দেশের ৩০ জন প্রতিযোগী এই চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৬৫ পয়েন্ট পেয়ে সোনা জিতে নেন নীলকণ্ঠ। তিনি বলেন, “আমার হিসেবের গতিতে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন বিচারকরা। আরও ভাল ভাবে যাচাই করার জন্য তাঁরা আরও হিসেব কষতে দেন। তাতেও সফল হই।”
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন কলেজে গণিতে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন নীলকণ্ঠ। তাঁর দখলে চারটি বিশ্ব রেকর্ড এবং ৫০টি লিমকা রেকর্ড রয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে নীলকণ্ঠ বলেন, “ক্যালকুলেটরের থেকে আমার মস্তিষ্ক দ্রুত হিসেব করতে পারে। এক সময় শকুন্তলা দেবী এবং স্কট ফ্ল্যান্সবার্গের এই রেকর্ড ছিল। তাঁদের রেকর্ড ভাঙতে পেরে আমি আনন্দিত। এটা দেশের জন্যও একটা গর্ব।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব গণিতে ভারতকে একটা বিশেষ স্থান দিতে পারাটা কম গর্বের বিষয় নয়। সেটা করতে পেরেছি। এই প্রথম এমএসও-তে ভারত সোনা পেল।”
এমএসও হল মেন্টাল স্কিল এবং মাইন্ড স্পোর্টস-এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রতি বছর লন্ডনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতা যে কোনও অলিম্পিকের সমতুল্য।
আরও পড়ুন: ধর্মনিরপেক্ষ হলে তুরস্কে কেন? এ বার সঙ্ঘের রোষে আমির খান
‘ভিশন ম্যাথ’ নামে একটি ল্যাব খোলার লক্ষ্য রয়েছে নীলকণ্ঠের। এর মাধম্যেই লাখ লাখ ছেলেমেয়েদের কাছে পৌঁছে যেতে চান তিনি। তাঁদের গণিতের প্রতি ভালবাসা, ভাললাগা তৈরি করতে চান। নীলকণ্ঠ বলেন, “দেশের সরকারি স্কুলের প্রতি চার জন পড়ুয়ার মধ্যে তিন জন গণিতের প্রাথমিক বিষয়টাই শিখে উঠতে পারে না। ফলে তাদের মধ্যে গণিতের প্রতি একটা ভীতি তৈরি হয়। আর এই কারণেই গ্রামীণ এলাকায় বহু পড়ুয়া স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয়।” সেই ভীতি কাটিয়ে গণিতের প্রতি পড়ুয়াদের ভালবাসা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চান বলেই জানিয়েছেন নীলকণ্ঠ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy