ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
দেখলে মনে হবে পেঁজা তুলো। হিমবাহ বলেও ভ্রম হতে পারে। রাতভর বৃষ্টির পর দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরুর বেলান্দুর লেকের অবস্থা এখন এমনই। তবে হিমবাহ বা পেঁজা তুলো দু’টোর কোনওটাই নয়। বরং বিষাক্ত সাদা ফেনা ও বুদবুদে ঢেকে গিয়েছেলেকটি।অতিরিক্ত দূষণ এবং রাতভর বৃষ্টির জেরেই এমন পরিস্থিতি।
বেঙ্গালুরুতে বেশ কয়েকটি দূষিত লেক রয়েছে। যার মধ্যে বেলান্দুর অন্যতম। বর্জ্য পদার্থ, নর্দমার নোংরা জল সব এসে পড়ে তাতে। গতকাল রাতভর বৃষ্টি হয়েছে সেখানে। যার ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ সৃষ্টিকারী উপাদান মিশে থাকে। তার জেরেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। লেকটির ৯০০ একর এলাকা ওই বিষাক্ত ফেনা ও বুদবুদে ঢেকে গিয়েছে। কোথাও কোথাও আবার ফেনার স্তর ১০ ফুট পুরু।
লেক ছাড়িয়ে রাস্তার ওপর উঠে এসেছে ফেনার স্তর। বাতাসেও উড়ে বেড়াচ্ছে। তাতে থমকে গিয়েছে জনজীবন। ঝাঁঝালো গন্ধ এড়াতে বাড়ির বাইরে বেরনো বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। তবে এখনই রেহাই নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কারণ, আগামী ৪ দিন একনাগাড়ে বৃষ্টি চলবে।
রাস্তায় উঠে এসেছে ফেনার পাহাড়, দেখুন ভিডিও
#BengaluruRains#Bengaluru#water#pollution
— Kiran Parashar (@KiranParashar21) September 25, 2018
Massive frothing in Bellandur lake threatening to spill onto the roads. @TOIBengaluru pic.twitter.com/x8z982zmbx
আরও পড়ুন: জোড়া ভূমিকম্পে কাঁপল অসম-সহ উত্তর পূর্ব ভারত, ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই
আরও পড়ুন: হিমাচলে ট্রেকিংয়ে গিয়ে নিখোঁজ রুরকি আইআইটির ৩৫ ছাত্র-সহ ৪৫ জন
গত দু'দশক ধরে এমনই চলছে বেঙ্গালুরুতে। তবে পরিস্থিতি চরমে উঠেছে গত বছর থেকে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বেলান্দুর লেকে আচমকাই আগুন জ্বলতে শুরু করে। তার জেরে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। এ বছর জানুয়ারি মাসেও একই ঘটনা।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৫ হাজার সেনা নামানো হয়। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয় তারা।
চলতি বছরের জুন মাসে এই নিয়ে একদফা শুনানি করে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল। তাতে বলা হয়, বেলান্দুর লেক দেশের বৃহত্তম সেপটিক ট্যাঙ্কে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনিক উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী। তবে তারপরও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। কারণ জুলাই মাসেই বেলান্দুর লেকের নোংরা জল গিয়ে পড়ে কোলার জেলার ১৪০০ কোটি টাকার সেচ প্রকল্পে। সেখানেও দূষণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy