নরেন্দ্র মোদী। -ফাইল চিত্র
ঘরবন্দি সময়ে ‘পড়ে পাওয়া সুযোগকে’ কাজে লাগিয়ে নিজেদের শৈশব ফিরে দেখার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবারের রেডিয়ো-বার্তা ‘মন কি বাতে’ শিশুদের পরামর্শ দিয়েছেন, বিভিন্ন দেশীয় ইন্ডোর গেমে হাত পাকানোর। মোবাইলে ধরে রাখতে বলেছেন বাড়ির প্রবীণদের স্মৃতিচারণ। আর বাড়ির বড়দের বলেছেন, ছোটদের হরেক রকম গল্প শোনাতে।
কিন্তু কর্মী সংগঠন এআইটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অমরজিৎ কউরের প্রশ্ন, যাঁরা লকডাউনে কাজ হারিয়ে বেকার কিংবা বাড়ি ফেরার পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন যে পরিযায়ী শ্রমিক, তাঁদের ছেলে-মেয়েদের গল্প শোনাবেন কে?
প্রধানমন্ত্রীর ওই রেডিয়ো-বার্তার পরেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। লাদাখ, চিন ইত্যাদির পাশাপাশি তাঁদের প্রশ্ন, শুধু কি ৫-১০ শতাংশ সচ্ছল পরিবারের উদ্দেশেই বাড়িতে বসে খেলা, গল্প কিংবা স্মৃতি রোমন্থনের কথা বললেন মোদী? একই ধরনের ক্ষোভ উগরে দিয়েছে এআইটিইউসি-সহ একাধিক কর্মী সংগঠনও। তাদের প্রশ্ন, কাজ হারানো কর্মীরা কী ভাবে আর ঘরে বসে গল্প শোনাবেন সন্তানকে? যাঁদের স্মার্টফোন কেনারই পয়সা নেই, তাঁরা কী করে করবেন ঠাকুরদা-ঠাকুমা-দাদু-দিদার স্মৃতিচারণের ভিডিয়ো রেকর্ডিং?
করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়লেও এখন প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, চিন্তার কারণ নেই। মুখে মাস্ক আর পরস্পরের মধ্যে দু’গজ (ছ’ফুট) দূরত্ব বজায় রাখলেই হল। একাধিক কর্মী সংগঠনের ক্ষোভ, তা-ই যদি হয়, তা হলে লকডাউনের সময়ে অত পুলিশি কড়াকড়ি করা হল কেন? কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হল যে, মাইলের পর মাইল হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশের ভয়ে কখনও জঙ্গলে তো কখনও রেললাইন ধরে চলতে হল পরিযায়ী শ্রমিকদের?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy