প্রতীকী ছবি।
দুর্নীতিমুক্ত ভারত। কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আম জনতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ জমা। মূলত এই দুই স্বপ্ন দেখিয়েই ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। মাঝে ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময় ছাড়া গত পাঁচ বছরে কালো টাকা নিয়ে আর তেমন কোনও উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি মোদী বা বিজেপি নেতৃত্বের মুখে। এ বার সামনে এল ইউপিএ জমানার রিপোর্ট। কিন্তু তাতেও কার্যত হতাশই করেছেন অর্থ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বীরাপ্পা মইলি। ওই কমিটির রিপোর্টেও না উল্লেখকরা হয়েছে কালো টাকার পরিমাণ, না আছে কালো টাকা নির্ধারণের স্পষ্ট কোনও দিকনির্দেশ। কমিটির একটি সূত্রে খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে, কালো টাকা নির্ধারণে সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ করেনি। আজ সোমবার উভয় কক্ষে পেশ হওয়ার পর এই নিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারে সংসদে।
দেশে কত কালো টাকা জমা আছে? বিদেশেই বা তার পরিমাণ কত? কী ভাবে সেই গচ্ছিত টাকা উদ্ধার করা যায় বা নতুন করে মজুত আটকানো যায়, সেই সব উপায় বার করতেই মনমোহন সিংহের প্রধানমন্ত্রিত্বে দ্বিতীয় ইউপিএ জমানায় একটি রিপোর্ট তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সেই সময় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফাইনান্স অ্যান্ড পলিসি, দ্য ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফাইনান্স ম্যানেজমেন্ট— এই তিন সরকারি সংস্থার সমীক্ষা ও তাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কালো টাকা নিয়ে রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় অর্থ বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে। দায়িত্ব বর্তায় কংগ্রেস সাংসদ বীরাপ্পা মইলির উপর।
সম্প্রতি সেই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, রিপোর্টে কালো টাকার পরিমাণ বা নিয়ন্ত্রণে স্পষ্ট কোনও দিশা নেই। মইলি রিপোর্ট দিয়েছেন, ‘‘ওই তিন সংস্থার রিপোর্টে এমন কোনও পদ্ধতি বা উপায় নেই, যাতে কত কালো টাকা মজুত রয়েছে বা মজুত হচ্ছে, তা বার করা যায়।’’
সূত্রের খবর, রিপোর্টে মইলি আরও উল্লেখ করেছেন, ওই তিন সংস্থার রিপোর্ট সব ক্ষেত্রেই অনেকগুলি বিষয় ধরে নিয়ে এবং উপর ভিত্তি করে একটি উপসংহারে আসা হয়েছে। কিন্তু সেই অনুমানগুলির ক্ষেত্রেও তিন সংস্থার মধ্যে কোনও সমন্বয় বা মিল নেই। কালো টাকা নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়েও তিন সংস্থার মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে এবং কোনটি সবচেয়ে ভাল পন্থা সে বিষয়েও স্পষ্ট কোনও দিশা নেই। মইলির রিপোর্টে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, তিন সংস্থার মধ্যে পদ্ধতিগত সমন্বয় না থাকায় ফলাফলেও বিস্তর পার্থক্য এসেছে।
আরও পডু়ন: অখিলেশ ‘মুসলিম বিরোধী’! নয়া তোপ দেগে একলা চলার পথেই মায়াবতী
আরও পডু়ন: এই অবস্থা চলতে পারে না! এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে ৭ দিনের মধ্যে বিহার সরকারের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের
কিন্তু রিপোর্টের একটি অংশ নিয়েই রিপোর্ট ঘিরে উত্তাপ ছড়াতে পারে সংসদে। সোমবার লোকসভা এবং রাজ্যসভায় এই রিপোর্ট পেশ হচ্ছে। মইলির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ বা উদ্ধারে সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ করেনি। এই অংশ নিয়ে আপত্তি জানাতে পারে বিজেপি। পাল্টা কংগ্রেস তথা বিরোধীরাও এই নিয়ে সরব হতে পারে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে কালো টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে খোঁচা দিতে পারে বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy