দিন দু’য়েক আগে কৃষকদের খোলা চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। চিঠিতে কৃষি আইন নিয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝানোর পাশাপাশি আন্দোলনে বিরোধী দলগুলির ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছিল। এ বার কেন্দ্র সরকারকেই পাল্টা খোলা চিঠি লিখল কৃষক সংগঠনগুলো। চিঠিতে তারা জানিয়েছে, এটা সম্পূর্ণ কৃষকদের আন্দোলন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। কেউ তাঁদের ইন্ধনও দিচ্ছে না। রাজনৈতিক ইন্ধনের যে অভিযোগ উঠছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
কেন্দ্রকে উদ্দেশ করে এই চিঠিতে তারা বলেছে, ‘আপনারা যদি আমাদের দাবিগুলো ভাল ভাবে খতিয়ে দেখেন, তা হলে বুঝতে পারবেন যে, এই দাবিগুলোর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই’।
দু’দিন আগেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী একটি ৮ পাতার খোলা চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, কেন্দ্র সব সময় কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। কৃষি আইন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে ব্যাখ্যা করতেও রাজি। কৃষি আইন নিয়ে জনমত গড়ে তুলতে সেই চিঠি বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এ প্রসঙ্গে কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, সরকার কৃষকদের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করে খোলা চিঠি লিখে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। তাদের আরও অভিযোগ, কৃষিমন্ত্রী চিঠিতে দাবি করেছেন যে, এই আইনের ফলে কৃষকরা তাঁদের জমি হারাবেন না। কিন্তু তাঁর এই দাবির সঙ্গে কন্ট্র্যাক্ট অ্যাক্ট ২০২০-র কোনও মিল নেই।
২৫ দিন হয়ে গেল দিল্লির উপকণ্ঠে বসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। আন্দোলন আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো। আজ, রবিবার তারা ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস’ পালন করছে। আন্দোলন করতে গিয়ে বহু কৃষক ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে আজ দেশ জুড়ে এই দিবস পালন করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো।