সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। প্রথম দিনেই এপিক বা ভোটার কার্ডে ‘কারচুপি’র অভিযোগ তুলে সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধির কৌশল নিতে পারে বিরোধী দলগুলি। এ ক্ষেত্রে বিরোধী জোটের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। কারণ বিষয়টি নিয়ে তারা গোড়া থেকেই সরব হয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা চেয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যসভা এবং লোকসভায় একাধিক নোটিস জমা পড়েছে।
এপিক ছাড়াও ট্রাম্পের শুল্কনীতি, হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ নিয়েও নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে জবাব চাইতে পারে বিরোধী দলগুলি। আলোচনা হতে পারে সম্ভাব্য আসন পুনর্বিন্যাস নিয়েও। কারণ ডিএমকে-সহ দক্ষিণ ভারতের দলগুলি মনে করছে, সেখানে জন্ম বৃদ্ধির হার উত্তর ভারতের তুলনায় কম হওয়ায় পরবর্তী জনশুমারির পর লোকসভার আসনসংখ্যা হ্রাস পেতে পারে। উল্টো দিকে আসন বাড়তে পারে উত্তর ভারতে।
এই অধিবেশনে বিরোধীদের সম্ভাব্য বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যেই বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাশ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে সরকার। ‘অভিবাসন এবং বিদেশি বিল, ২০২৫’-ও পেশ হতে পারে সংসদের এই অধিবেশনে। হিংসাদীর্ণ মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে। সোমবার মণিপুরের জন্য বাজেট পেশ করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম কেন, এই প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। কমিশন যদিও জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন মাসের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আরও চাপ বড়াতে আগামী মঙ্গলবার তৃণমূলের লোকসভার মুখ্য আহ্বায়ক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে ১০ জনের সংসদীয় প্রতিনিধি দল দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবে।
এপিক নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে কক্ষ সমন্বয়ও দেখা যেতে পারে এই অধিবেশনে। আপ, এসপি, উদ্ধবসেনার মতো দল তো বটেই, সাময়িক দ্বিধা কাটিয়ে এই বিষয়ে তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে পারে কংগ্রেসও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত মাসে নেতাজি ইন্ডোরে প্রথম বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তার পরেই তৃণমূল দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে এবং বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সমন্বয় শুরু করে।