জমায়েত হয়েছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। ছবি: টুইটার।
কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে রফাসূত্র তো মিললই না, বরং উল্টে রবিবার তাঁরা হুমকি দিলেন রাজধানীতে ঢোকার পাঁচটি প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ করে দেওয়া হবে। বিকেইউ ক্রান্তিকারী (পঞ্জাব)-এর প্রেসিডেন্ট কৃষক নেতা সুরজিৎ এস ফুল বলেন, ‘‘বুরারির মাঠের জেলখানায় যাওয়ার থেকে আমরা দিল্লিতে ঢোকা বেরোনের পাঁচটি প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ করে রাজধানী ঘেরাও করব। আমরা চার মাসের রেশন নিয়ে এখানে এসেছি। তাই কোনও চিন্তা নেই। আমাদের অপারেশন্স কমিটি সব বিষয়ে নজর রাখছে।’’
আর এক নেতা বলেন, ‘‘সরকার তো এই আইন কত ভাল, সে কথা অনেকবার বলেছে। আমাদের প্রশ্ন একটাই। কে এই আইন তৈরি করতে বলেছিল? কোন সংস্থা সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছিল? তাদের নাম আমরা জানতে চাই।’’
শনিবার কৃষকদের সামনে শর্ত সাপেক্ষে আলোচনার যে প্রস্তাব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রেখেছিলেন, তা মানছেন না বিক্ষুব্ধরা। অমিতের ‘শর্ত সাপেক্ষে’ আলোচনায় বসার ওই প্রস্তাবে তাঁদের থেকে যে কোনও রকম সাড়া মিলবে না রবিবার তা বৈঠকের পর স্পষ্টও করে দিলেন।
‘শর্ত সাপেক্ষে’ অমিতের প্রস্তাব মানা হবে কি না তা নিয়ে আজ, রবিবার বৈঠকে বসেন কৃষকেরা। বৈঠকের পর তাঁরা জানিয়ে দেন, কোনও রকম শর্ত ছাড়া যদি সরকার আলোচনায় বসতে চায়, একমাত্র তা হলেই তাঁরা রাজি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও রবিবার টুইট করে বিনা শর্তে দ্রুত কৃষকদের সঙ্গে সরকারকে আলোচনায় বসতে বলেছেন।
Instead of going to open jail in Burari, we've decided that we will gherao Delhi by blocking 5 main entry points to Delhi. We've got 4 months ration with us, so nothing to worry. Our Operations Committee will decide everything: Surjeet S Phul, President, BKU Krantikari (Punjab) https://t.co/aH5xm26WAi pic.twitter.com/2L0yL7vVmf
— ANI (@ANI) November 29, 2020
আরও পড়ুন: প্রায় গৃহবন্দি রইলেন শুভেন্দু, আজ কী বলবেন মহিষাদলে, জল্পনা তুঙ্গে
শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষকদের সামনে আলোচনার একটা প্রস্তাব রেখেছিলেন। কৃষকদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের বুরারি গ্রাউন্ডে জমায়েত হওয়ার আবেদন করেন। সেখানে তাঁদের কর্মসূচি পালনে দিল্লি পুলিশের অনুমোদন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি কৃষকদের সামনে তিনি শর্ত রাখেন, যদি তাঁরা বুরারিতে সরে যান, তা হলে ৩ ডিসেম্বরের আগে কৃষক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে সরকার।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কৃষকেরা ‘লং মার্চ’ করে জড়ো হয়েছেন পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায়। কৃষকদের একটি দল রাজধানীতে ঢুকে পড়েছেন। কিন্তু রাজধানীতে বিক্ষোভের অনুমতি মেলেনি। কৃষকদের হঠাতে জলকামানও ব্যবহার করেছে পুলিশ। কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি বিক্ষুব্ধ কৃষকদের। কৃষকেরা জাতীয় সড়কের বহু জায়গায় ট্র্যাক্টর-ট্রলির উপর বসবাস করছেন। টানা চার দিন ধরে এই পরিস্থিতি চলছে।
The way farmers have been stopped from entering Delhi, it looks like as if they don't belong to this country. They have been treated like terrorists. Since they are Sikh&have come from Punjab&Haryana, they're being called Khalistani. It is insult to farmers:Sanjay Raut, Shiv Sena pic.twitter.com/XaE529oZUL
— ANI (@ANI) November 29, 2020
আরও পড়ুন: কৃষকদের দাবি মানা হবে, আশ্বাস অমিত শাহের, বৈঠক ৩ ডিসেম্বর
Farmers continue their protest against the farm laws at Singhu border (Delhi-Haryana border). #FarmersProtest pic.twitter.com/ZghQzVZE0g
— ANI (@ANI) November 29, 2020
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy