প্রতীকী ছবি।
সোমবারই সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা (জেইই-মেন) এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা (এনইইটি-ইউজি বা নিট-ইউজি) পিছোনোর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে তা হওয়ার কথা সেপ্টেম্বরে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা ভেবে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে চলেছে একাধিক ছাত্র সংগঠন। সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত এলাকায় অসহায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত বদলের অনুরোধ জানাচ্ছে তারা। কিন্তু মন্ত্রী অনড়।
নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির প্রচারে শিক্ষামন্ত্রী যে সব ই-আলোচনাতেই যাচ্ছেন, সেখানেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠছে পরীক্ষার্থীদের অনুরোধ, “এই করোনা-কালে জেইই, নিট পিছোনো হোক।” অনেকের প্রশ্ন, ঝড়ের গতিতে সংক্রমণ ছড়ানোর এই সময়ে পরীক্ষায় বসতে বাধ্য হওয়া যদি বহু পড়ুয়ার বিপদ ডেকে আনে, তার দায় সরকার নেবে তো? প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে সারা দেশে অতিমারির সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, থেকে-থেকেই স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন জারি করছে বিভিন্ন রাজ্য, সেখানে এমন সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় ছাত্ররা বসবেন কী ভাবে? সংক্রমণের ঝুঁকি বাদ দিয়েও কী ভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছবেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের পরীক্ষার্থী?
এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসের বক্তব্য, “সারা দেশ অতিমারির কবলে। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত। পশ্চিমবঙ্গের কথাই ধরা যাক। এক দিকে সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুড়মুড়িয়ে। অন্য দিকে আমপানের দাপটে বিধ্বস্ত দক্ষিণ বঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বহু জায়গায় নেট, এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগের হাল খারাপ। এই পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা কিংবা উত্তরবঙ্গের মেটেলি বা বানারহাটের মতো জায়গার কারও পক্ষে পরীক্ষা দেওয়া কতটা কঠিন, তা অকল্পনীয়।” এসএফআইয়ের টুইট, “সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে ভার্চুয়াল ব্যবস্থায়। অথচ হলে এসে পরীক্ষায় বসতে বলা হচ্ছে।…পড়ুয়াদের প্রাণের মূল্য এ দেশে নেই!”
গত কয়েক দিনে শিক্ষামন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট কিংবা তাঁর অনুষ্ঠান চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ লিখেছেন যে, তিনি বানভাসি অসমে আটকে। বাড়িতে তিন জন কোভিড আক্রান্ত। পরীক্ষা দেবেন কী করে? কেউ জানতে চেয়েছেন, এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কিছুটা পিছিয়ে দিলে, কী ক্ষতি? ছাত্র সংগঠন এআইএসএ-র নেতা এন সাই বালাজিও এই সিদ্ধান্ত ফিরে দেখার আর্জি জানান। শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, পরিস্থিতি কঠিন হলেও, জেইই-মেন আর নিট-ইউজি পরীক্ষাটি হওয়া উচিত পড়ুয়াদের স্বার্থ মাথায় রেখেই।
করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পরীক্ষা পিছোনোর আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন ছাত্রদের আইনজীবী অলখ অলক শ্রীবাস্তব। পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধির আবেদনও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy