চাঁদ বাগে মারমুখী জনতা। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া
রাস্তা নয় যেন রণক্ষেত্র! এক দিকে গুটিকয়েক পুলিশ কর্মী। আর তাঁদের চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলছে ক্ষিপ্ত জনতা। একটু একটু করে ছোট হয়ে আসছে বৃত্ত। শেষ পর্যন্ত পুলিশকর্মীদের পিষে দিয়েই চলে যাচ্ছে উন্মত্ত জনতা। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া হিংসার এমনই এক ভিডিয়ো এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর এমন বীভৎসতা দেখে শিউরে উঠছে গোটা দেশ।
দিল্লির হিংসার পর প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক ভিডিয়ো। এ বার ছড়িয়ে পড়েছে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, সংঘর্ষের প্রথম দিনে চাঁদ বাগ এলাকার একটি ভিডিয়ো। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ছাদ থেকে মোবাইলে তোলা হয়েছে ওই ভিডিয়োটি। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে চাঁদ বাগে গিয়েছিলেন এক দল পুলিশ কর্মী।
তাঁদের দেখে মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। তাঁদের লক্ষ করে ছোড়া হয় ইট পাটকেল। পুলিশ কর্মীরা সংখ্যায় কম ছিলেন। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। সাময়িক ভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় জনতা। কিন্তু সে ক্ষণিকের জন্য। এর পর পুলিশকে লক্ষ্য করে রাস্তার দু’ধার থেকেই ছুটে আসতে শুরু করে শয়ে শয়ে মানুষ। সেই ভিড়ে ছিলেন মহিলারাও। পুলিশকে লক্ষ্য করে সে সময় শুরু ইটবৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েন পুলিশকর্মীরা।
From 0.08 onwards you can see a large group of Burqa clad women stoning handful of policemen who are trying to form a human shield to protect fellow cops from getting killed. This is the ugly reality of Islamist violence on streets of Delhi.pic.twitter.com/XikHvaY7xi
— Divya Kumar Soti (@DivyaSoti) March 5, 2020
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল সে দিনের ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের উপর কোপ, ইপিএফ-এ কমল সুদের হার
বিপদ বুঝে কয়েক জন পুলিশকর্মী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ইটের আঘাত থেকে বাঁচতে গাছের আড়ালে আশ্রয় নেন তাঁরা। ওই পুলিশকর্মীরা নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারলেও,বাকিরা আটকে পড়েন। এর পরেই উন্মত্ত জনতা ঢেউয়ের মতো তাঁদের উপর আছড়ে পড়ে। পুলিশ কর্মীদের পিষে দেয় তারা।
পুলিশকে ঘিরে হামলা। ছবি: ভিডিয়ো থেকে
সংঘর্ষের প্রথম দিনই নিহত হয়েছিলেন দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লাল। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল বলে ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন চাঁদ বাগে উপস্থিত ছিলেন রতন লাল। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ অফিসার অমিত শর্মা ও অনুজ কুমারও। যদিও ওই ভিডিয়োয় অবশ্য তাঁদের দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: এত সম্পত্তি! শহর কলকাতায় তৃণমূল কাউন্সিলরের নামে কাটমানি পোস্টার
আরও একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পুলিশ অফিসার অমিত শর্মাকে পুলিশকর্মীরা ঘিরে ধরে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁকে একটি বাড়িতে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে আর এক পুলিশ অফিসার অনুজ শর্মাকে।
দিল্লির ওই হিংসা প্রাণ কেড়েছে ৪৮ জনের। মহল্লায় মহল্লায় এখনও দগদগে হয়ে রয়েছে চার দিনের সংঘর্ষের চিহ্ন। কিছুটা সময় পেরোলেও, সে দিনের ঘটনার নানা ছবি বা ভিডিয়ো এখনও হিমস্রোত নামাচ্ছে মেরুদণ্ডে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy