—ফাইল চিত্র।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল দিল্লি হাইকোর্ট। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সেনার সদস্যদের এই ধরনের ৮৯টি অ্যাপ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সেনার এক আধিকারিক। হাইকোর্ট সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সেনাবাহিনীর নির্দেশ বহাল রেখেছে। ২০১৫ সালে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রয়াত মনোহর পর্রীকর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞার বিরোধী ছিলেন।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলি থেকে সেনার সদস্যদের সরে আসার জন্য গত ৬ জুন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেনার লেফটেন্যান্ট কর্নেল পি কে চৌধরি সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, সেনার সদস্যেদর মৌলিক অধিকারের হরণ করার জন্য সংবিধান বা দেশের কোনও আইন ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি ইনটিলিজেন্সকে ক্ষমতা দেয়নি। দেশের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট প্রথমে এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিতে চায়নি।
সেনার তরফে বন্ধ খামে কিছু তথ্যপ্রমাণ আদালতের সামনে হাজির করা হয়। যা আবেদনকারীকে জানানো হয়নি। এর পরেই বুধবার বিচারপতি রাজীব সহায় এন্ডলো ও বিচারপতি আশা মেননের বেঞ্চ তাঁদের রায় শুনিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিনা অনুপ্রবেশের নথি গায়েব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে
সেনাবাহিনীর গোপন ও স্পর্শকাতর খবর জোগাড়ের জন্য হানিট্রাপের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বারবার সামনে এসেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভারতের শত্রু শিবির এ জন্য সুকৌশলে ব্যবহার করেছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পিছনে সেই আশঙ্কাই কাজ করেছে। তবে আদালতে চৌধরি জানিয়েছেন, তিনি জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।
পাশাপাশি, দেশের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সময়ে সময়ে সেনার নির্দেশিকাও মেনে চলেন। বিভিন্ন বিষয়ে মতের আদানপ্রদানে সোশ্যাল মিডিয়ার অবদানকেও তুলে ধরে আবেদনকারী জানান, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার সময়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে শারীরিক দূরত্বকে অনেকটাই মিটিয়ে দিতে পারেন। ইন্টারনেটের যুগে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে জুড়ে থাকতে পারেন তাঁরা। যাতে মানসিক চাপও অনেক কমে।
আরও পড়ুন: এক দিনে রাজ্যে আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার, কলকাতায় মৃত ২৭
সেনার তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়, হানিট্র্যাপের ঘটনা বাড়ছে। তবে এর সংখ্যা ঠিক কত, তা জানানো হয়নি। চৌধরি যুক্তি দিয়েছেন, ব্রিটেন কিংবা আমেরিকার সেনাবাহিনীতেও এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়নি। আর ভারতীয় সেনার শৃঙ্খলা ও দায়িত্বের কথাও টেনে এনেছেন তিনি। আদালত শেষ পর্যন্ত ফেসবুক, টুইটারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সেনার সিদ্ধান্তকেই বহাল রেখেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy