প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে না জানিয়ে একই গোত্রের ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন দিল্লিবাসী ২৫ বছরের এক তরুণী। সেই রাগে মেয়েকে খুন করে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে নিয়ে গিয়ে দেহটি খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পরিবারের বিরুদ্ধে। ২৯ জানুয়ারি শীতল চৌধুরী নামে ওই তরুণীকে খুন করলেও এত দিন বিষয়টি আড়ালে ছিল। শীতলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর প্রেমিক অঙ্কিত ভাটি অপহরণের অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ খুনের কথা জেনেছে।
শুক্রবার রাতে শীতলের বাবা-মা রবীন্দ্র চৌধুরী ও সুমন-সহ পরিবারের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক চক্রান্ত, খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আদালতে তোলা হলে ওই ৬ জনকে ১৪ দিনের জন্য তিহার জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
জেরার মুখে নিহত তরুণীর পরিবারের লোকেরা স্বীকার করেছে, গত ২৯ জানুয়ারি রাতে তারা শীতলকে গলায় ফাঁস দিয়ে মারে। তার পরে দেহটি গাড়িতে ভরে উত্তরপ্রদেশের দিকে রওনা দেয়। কয়েক জন অন্য একটি গাড়ি নিয়ে পিছনে পিছনে যায়। দিল্লি থেকে ৮০-১০০ কিলোমিটার দূরে আলিগড়ের একটি খালে দেহটি ফেলে ওই রাতেই ফিরে আসে তারা।
আরও পড়ুন: নিজের দেশে বানাতে পারেননি, সেই পাঁচিল ট্রাম্প এ বার দেখে যাবেন ভারতে
তদন্তে নেমে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের কললিস্ট পরীক্ষা করেন। দেখেন উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার সময়ে তাঁরা একে অন্যকে ফোন করেছিল। প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ভাবে জেরা করার সময়ে প্রথমে খুনের কথা স্বীকার করেনি তারা। কিন্তু চাপের মুখে শেষমেশ ভেঙে পড়ে দোষ কবুল করে। তারাই পুলিশকে আলিগড়ের ওই খালের কাছে নিয়ে যায়। যদিও সেখানে দেহটি পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy